বিগত অর্থবছরে বিআরটিসির লোকসান ৪৭৩ কোটি টাকা
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, জাতীয় স্কেল, ২০১৫ বাস্তবায়নের আগে বিআরটিসি অপারেটিং লাভে ছিল। কিন্তু পরবর্তী নতুন পে-স্কেল বাস্তবায়নের ফলে ২০১৬-১৭ অর্থবছরে ৪৭৩ কোটি টাকা লোকসান হয়েছে।
রোববার জাতীয় সংসদে সেলিম উদ্দিনের (সিলেট-৫) তারকা চিহ্নিত প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি। এর আগে বেলা ১১টায় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের মুলতবি বৈঠক শুরু হয়।
সংসদে মন্ত্রী বলেন, সেবাই আদর্শ-এ মূলমন্ত্র ধারণ করে বিআরটিসি জনগণকে স্বল্পমূল্যে যাত্রী ও পণ্য পরিবহন সেবা দেয়ার জন্য কার্যক্রম পরিচালনা করে। বিআরটিসিতে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতাদি, পেনশন/গ্র্যাচুইটি যাবতীয় খরচ কর্পোরেশন নিজস্ব আয় থেকে বহন করে থাকে। সরকারের কাছ থেকে এ বাবদ কোনো অর্থ গ্রহণ করে না। এ সময় মন্ত্রী লোকসানের কারণসমূহ তুলে ধরেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘পে-স্কেল-২০১৫ বাস্তবায়নের ফলে বিআরটিসির বেতন-ভাতা পূর্বের তুলনায় প্রতিমাসে ২.৮ কোটি টাকা বেড়েছে।’
এই প্রতিষ্ঠানকে লাভজনক করে তোলার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ তুলে ধরেন তিনি। মন্ত্রী বলেন, ‘পে-স্কেল বাস্তবায়নের ফলে সরকার থেকে বিআরটিসি বকেয়া বেতন-ভাতা এবং গ্র্যাচুইটি খাতে ২১ কোটি টাকা সুদমুক্ত ঋণ পেয়েছে। ভারতীয় লাইন অব ক্রেডিট এর আওতায় বিআরটিসির জন্য ৪০০টি বাস, ৫০০টি ট্রাক কেনার প্রক্রিয়া শেষ পর্যায়ে।
এছাড়া শিগগিরই আরও ২০০ টি এসি বাস কেনার দরপত্র আহ্বাবন করা হবে। চালকসহ বিভিন্ন পদে লোক নিয়োগ কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন এবং ডিপোগুলোতে স্বচ্ছলতা আনার জন্য ডিজিটালাইজড করা হচ্ছে বলেও জানান মন্ত্রী।
এইচএস/এসআর/এমএস