সংসদ নির্বাচনে বরাদ্দ ১৮৯৫ কোটি টাকা
জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কারণে প্রস্তাবিত বাজেটে ইসির বরাদ্দ বাড়ানো হয়েছে। প্রস্তাবিত বাজেটে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের জন্য পরিচালন খাতে ১৬৮৫ কোটি ২৪ লাখ টাকা ও উন্নয়ন খাতে ২১০ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৭ জুন) জাতীয় সংসদে ২০১৮-১৯ অর্থবছরের জন্য প্রায় পৌনে পাঁচ লাখ কোটি টাকার বাজেট প্রস্তাব করেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত।
নতুন অর্থবছরের বরাদ্দ পাওয়া অর্থে ছবিসহ ভোটার তালিকা হালনাগাদ, জাতীয় সংসদ নির্বাচন, বিভিন্ন স্থানীয় সরকারের সাধারণ ও উপ-নির্বাচন, উন্নতমানের স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র বিতরণ, জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্য যাচাই অব্যাহত এবং নির্বাচনী ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন কার্যক্রম অব্যাহত রাখার কথা রয়েছে। তবে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) নিয়ে নতুন অর্থবছরে আপাতত বরাদ্দ রাখা হয়নি।
বর্তমান ইসির অধীনে ২০১৮ সালের ৩০ অক্টোবর থেকে ২০১৯ এর ২৮ জানুয়ারির মধ্যে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নতুন অর্থবছরে গাজীপুর, রাজশাহী ও বরিশাল সিটি কর্পোরেশন এবং সংদের পরে দেশজুড়ে উপজেলা পরিষদের নির্বাচন হবে।
এ ছাড়া পৌরসভা, ইউপি এবং সংসদ-স্থানীয় সরকারের উপ নির্বাচন রয়েছে। একাদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নতুন অর্থবছরে ১৮৯৫ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব রয়েছে। ২০১৭-১৮ অর্থবছরে সংশোধিত বাজেট বরাদ্দ দাঁড়ায় ৯৫৩ কোটি টাকা। এবারের বরাদ্দ গতবারের প্রায় দ্বিগুণ। এ ছাড়া প্রস্তাবিত বরাদ্দ দশম সংসদ নির্বাচনের বাজেটের চেয়েও সাড়ে তিনশ’ কোটি টাকা বেশি।
এ অর্থবছরে সংশোধিত বাজেটে ইসির বরাদ্দ দাঁড়ায় ৮০১ কোটি ৫৪ লাখ টাকা। ২০১৫-১৬ অর্থবছরে সংশোধিত বাজেটে ইসির জন্য বরাদ্দ ছিল ১৪৯৯ কোটি ২৭ লাখ ৬৪ হাজার টাকা। এ অর্থবছরেই ইউপি ও পৌরসভা নির্বাচনের আয়োজন করে নির্বাচন কমিশন। ২০১৪-১৫ অর্থবছরে সংশোধিত বাজেটে ইসির বরাদ্দ ছিল ৮৪৯ কোটি ২৮ লাখ ৭৭ হাজার টাকা। তার আগে দশম সংসদ নির্বাচনের বছরে ২০১৩-১৪ অর্থবছরে সংশোধিত বাজেটে এক হাজার ৫৪৮ কোটি ৬১ লাখ টাকা। ২০১২-১৩ অর্থবছরে ৩৪৫ কোটি ৬৫ লাখ ৮০ হাজার টাকা বরাদ্দ পায় ইসি।
এইচএস/এএইচ/পিআর