‘পুলিশের কেউ মাদক ব্যবসায় জড়িত থাকলে কঠোর ব্যবস্থা’
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কারো বিরুদ্ধে মাদক ব্যবসায় জড়িত থাকার খবর পেলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়া।
মঙ্গলবার রাজধানীর গুলিস্তান এলাকায় দুঃস্থদের মাঝে ঈদ বস্ত্র বিতরণের পর সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘বাংলাদেশে এখন জঙ্গিবাদের কোনো নেটওয়ার্ক নেই, সব গুঁড়িয়ে দিয়েছে পুলিশ। একইভাবে মাদকের আখড়ায় অভিযান চলবে। ঢাকার সব মাদক ব্যবসায়ীকে চিহ্নিত করে গ্রেফতার করা হচ্ছে। মাদক ব্যবসায়ী, তাদের সহযোগী, মদদদাতা, আশ্রয়দাতারা যতই প্রভাবশালী হোক না কেন, কোমরে দড়ি বেঁধে আদালতে পাঠানো হবে।’
তিনি আরও বলেন, মাদক নির্মূল না হওয়া পর্যন্ত অভিযান অব্যাহত থাকবে। তবে মাদকবিরোধী অভিযানের নামে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কেউ নিরপরাধ কাউকে হয়রানি করলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সোমবার রাতে রাজধানীর হাতিরঝিল ও মধুবাগ এলাকায় মাদকবিরোধী বিশেষ অভিযানে ৫০ জন মাদক সেবনকারী ও মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করা হয়। পরে অবশ্য যাচাইবাছাই করে তাদের মধ্যে ১৭ জনকে ছেড়ে দেয়া হয়।
সোমবার সারাদেশে দিনব্যাপী অভিযানে ২০ মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার ও ২৭ মাদক সেবনকারীকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দিয়েছে র্যাব।
এর আগে গত ২৯ মে দিবাগত রাতে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের নোয়াখালিয়াপাড়ায় র্যাবের সঙ্গে কথিত ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হন টেকনাফ পৌরসভার তিনবার নির্বাচিত কাউন্সিলর একরামুল হক। র্যাব ঘটনাটিকে ‘বন্দুকযুদ্ধ’ বললেও একরামুল হকের স্ত্রীর দেয়া একটি অডিও রেকর্ড গণমাধ্যমে প্রকাশিত হলে তাদের দাবি প্রশ্নবিদ্ধ হয়।
এ ঘটনায় একজন ম্যাজিস্ট্রেটকে তদন্তের দায়িত্ব দিয়ে এ ধরণের অভিযান আরও সতর্কতার সঙ্গে পরিচালনার নির্দেশ দেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
এআর/এমএমজেড/জেআইএম
আরও পড়ুন
সর্বশেষ - জাতীয়
- ১ মশা নিয়ন্ত্রণে ৫৩০ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ডিএসসিসির চিরুনি অভিযান
- ২ শাহজালাল বিমানবন্দরে ওয়েটিং লাউঞ্জ উদ্বোধন করলেন প্রধান উপদেষ্টা
- ৩ বান্দরবানে কেএনএ’র বিরুদ্ধে সেনা অভিযান, অস্ত্র-গুলি উদ্ধার
- ৪ জুলাই বিপ্লবের ১০০তম দিনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মসূচি
- ৫ দেশে ফিরে অভিবাসী কর্মীদের লাউঞ্জ উদ্বোধন করলেন প্রধান উপদেষ্টা