`জাতিগত নিধনের দায়ে মিয়ানমারের বিচার দাবি’
মিয়ানমারে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর জাতিগত নিধনের বিরুদ্ধে বিশ্ববাসীকে স্বোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। এ সময় তারা আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) মাধ্যমে দেশটিকে বিচারের আওতায় আনার দাবি জানান।
সোমবার (৪ মে) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) নবাব আলী চৌধুরী সিনেট ভবন মিলনায়তনে আয়োজিত সেমিনারে বক্তারা এ দাবি জানান। ‘জবাবদিহিতা : আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত ও রোহিঙ্গা সংকট’ শীর্ষক সেমিনারটির যৌথ আয়োজক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর জেনোসাইড স্টাডিজ, একশনএইড বাংলাদেশ এবং ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর পিস অ্যান্ড জাস্টিস বিভাগ।
সেমিনারে অস্ট্রেলিয়ার সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল ফিলিপ রুড্ক বলেন, রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর পরিকল্পিত নিধনযজ্ঞকে গণহত্যা বলার মতো যথেষ্ট তথ্য প্রমাণ রয়েছে। তাই মিয়ানমারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতেই হবে। এ জন্য জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদসহ সকলকে একসঙ্গে কাজ করা খুবই জরুরি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ড. ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে আইনি উদ্যোগ খুবই জরুরি। গণহত্যার বিচার কিংবা রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে মিায়নমারকে জবাবদিহিতার আওতায় আনতেই হবে। এ ক্ষেত্রে আইসিসি বড় ভূমিকা রাখতে পারে। একইসঙ্গে মিয়ানমারের ওপর রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক চাপ তৈরি করতে হবে। আর এটা করা সম্ভব। কারণ, রোহিঙ্গাদের ওপর মিয়ানমার যে হত্যা, ধর্ষণ, নীপিড়ন করেছে, তার যথেষ্ট প্রমাণ আছে। শুধুমাত্র দ্বিপাক্ষিক আলোচনায় এর সমাধান সম্ভব নয়। বহুপাক্ষিক চাপের মাধ্যমে এ সমস্যার সমাধন করতে হবে। রাশিয়াকেও এ ক্ষেত্রে সঙ্গে নিতে হবে।
আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের সাবেক প্রসিকিউটর কেট ভিগনেসওয়ারেন বলেন, হত্যা ও নিপীড়নের পরেই মানুষ বাংলাদেশে আসতে বাধ্য হয়েছে। তাই এ ক্ষেত্রে আইসিসি ভৌগলিক বিচারিক ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারে।
এমএইচ/এএইচ/আরআইপি