মিরপুরে ঈদ বাজারে বৃষ্টির বাগড়া
জমে উঠেছে মিরপুরের ঈদ বাজার। বৃষ্টি বাদল অপেক্ষা করেই অনেকে কেনাকাটায় নেমে পড়েছেন। তবে মিরপুরে একবার ঝুম বৃষ্টি নামলেই পানি জমে যায় রাস্তায়। ফলে ইচ্ছা করলেই সহজে যাতায়াত করা যায় না।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, গত শুক্রবার থেকে ক্রেতারা ঈদ মার্কেট শুরু করেছেন। এর আগে ঈদের বেচাকেনা ততটা জমেনি। কিন্তু প্রায় প্রতিদিনই শেষ বিকেলে বৃষ্টি হচ্ছে। এতে ঈদ কেনাকাটায় আসা লোকজন বেকায়দায় পড়ছেন। অনেকে না কিনেই বাসায় ফিরছেন কেউবা বাসা থেকে বেরই হচ্ছে না।
রোববার মিরপুর শপিং সেন্টারে দেখা যায়, দুপুরের আগেই মার্কেটটিতে প্রচুর ক্রেতার সমাগম। কিন্তু বিপত্তি বাজে বৃষ্টি। ভিতরে যারা আছেন সবাই আটকা পড়ে যান। কেউ হয়তো এই মার্কেটের বাইরে অন্য দোকানে গিয়ে পছন্দের জামা কাপড় দেখতে চাইলেও পারছেন না।
মিরপুর-১১ নম্বর থেকে আসা ক্রেতা আশরাফুন্নার বলেন, ঈদ শপিংয়ে বের হয়েছি দুপুর ১২টায়। তখন আকাশ মেঘলা ছিল। ভাবলাম হয়তো বৃষ্টি আসলেও ঝুম বৃষ্টি হবে না। কিন্তু এখন তো দেখছি রাস্তায় বন্যা বাধিয়ে দেবে।
তিনি বলেন, জামা খুঁজছিলাম-এখনও মন মতো পাইনি। তবে এপেক্স থেকে এক জোড়া জুতা কিনেছি। সঙ্গে একটি চামড়ার ‘লেডিস পার্স’ নিয়েছি। আজ হয়তো আর পারা যাবে না। বৃষ্টি কমলে বাসায় ফিরে যাবো পরে আবার আসতে হবে।
দ্বিতীয় তলার ল্যাটেস্ট ফ্যাশনের পরিচালক আনিসুর রহমান খান বলেন, বেচাকেনা যে খুব জমে উঠেছে তা বলা যাবে না। তবে আনাগোনা বেড়েছে ক্রেতাদের। গত দুদিন মোটামুটি বিক্রি হয়েছে। তবে হঠাৎ বৃষ্টির প্রকোপ না থাকলে আরও ভাল বিক্রি করতে পারতাম।
মিরপুর-১০ ও ১১ নম্বরে সরেজমিনে দেখা যায়, এবারের ঈদের জন্য প্রস্তুতির শেষ নেই শপিং মলগুলোর। সবাই নিজেদের সাজিয়েছেন বিভিন্ন আঙ্গিকে। কেউ কেউ লাইটিং করে নিজেদের আলাদা করার চেষ্টা করেছেন।
অর্জিনাল ১০ এ এক্সপোর্ট কোয়ালিটির হলমার্কের সেলসম্যান আরিফা বলছেন, এই দোকানে গিফট আইটেম বেশি। এর বাইরে অর্নামেন্টস, কসমেটিকও আছে। সবই এক্সপোর্ট কোয়ালিটির। ঈদকে সামনে রেখে প্রচুর নতুন নতুন আইটেম আনা হয়েছে। তরুণ-তরুণীরা এসব আইটেমের গ্রাহক বেশি।
মিরপুর-১০ এর শাহ আলী মার্কেটে দেখা যায়, মিরপুরের অন্যান্য মার্কেটের চেয়ে এখানে ভিড় বেশি। সাধারণত এখানে মধ্য আয়ের মানুষের জন্য সব ধরনের পণ্য পাওয়া যায়। ক্রেতাদের কাছে তুলনামূলক কম দামে জামা কাপড় প্রাপ্তিতে এই মার্কেটের সুনাম রয়েছে।
নিচতলায় বাটার শো রুমের সেলসম্যান মঞ্জু বলেন, ঈদে বাটায় বেশ কিছু নতুন আইটেম আনা হয়েছে। অনেকে এই সব পণ্য আগেই ঠিক করে বাজারে আসেন আর নিয়ে যান। কিছু বলা লাগে না।
দুই তলায় ক্রেতা সুমি আক্তার জানান, স্ক্রাব কেনার জন্য এখানে এসেছিলাম। দুটি কিনেছি। দাম এখানে একটু সাশ্রয়। এর বাইরে জামা ও কসমেটিকস নিয়েছি।
এমএ/জেএইচ/আরআইপি