পুরান ঢাকার রাসায়নিক পদার্থের গুদাম সরিয়ে নেয়ার দাবি
পুরান ঢাকা থেকে বিপজ্জনক রাসায়নিক পদার্থের কারখানা, গুদাম ও দোকান সরিয়ে নেয়ার দাবি জানিয়েছে পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন (পবা), নাগরিক অধিকার সংরক্ষণ ফোরামসহ (নাসফ) ১৬ সংগঠন।
রোববার পুরান ঢাকার নিমতলী ট্র্যাজেডির ঘটনাস্থল সংলগ্ন স্মৃতিস্তম্ভের পাশে, ‘পুরান ঢাকার আবাসিক এলাকা থেকে রাসায়নিক পদার্থের দোকান ও কারখানা সরিয়ে নেয়া হোক’ দাবিতে মানববন্ধন হয়। মানববন্ধনে বক্তারা এ কথা বলেন।
বক্তারা বলেন, নিমতলী ট্র্যাজেডির আট বছর পার হলেও পুরান ঢাকার আবাসিক এলাকা থেকে কারখানা, গুদাম ও দোকান এখনও সরেনি। বরং অলি-গলিতে গড়ে উঠছে রাসায়নিক পদার্থের গুদাম ও দোকানসহ প্লাস্টিক, পলিথিন ও জুতার কারখানা। নিমতলীসহ পুরান ঢাকার মানুষ অত্যন্ত বিপজ্জনক ও ঝুঁকিপূর্ণ রাসায়নিক দাহ্য পদার্থের সঙ্গে আতঙ্কে বসবাস করছে। এসব কারখানা, গুদাম ও দোকানে প্রতিনিয়ত ঘটছে ছোট বড় দুর্ঘটনা। তবে রাসায়নিক পদার্থের অব্যবস্থাপনা বা সামান্য ত্রুটিতে ঘটতে পারে নিমতলী ট্র্যাজেডির মতো ভয়াবহ ধ্বংসযজ্ঞ। তাই অবিলম্বে এসব রাসায়নিক পদার্থের কারখানা, গুদাম ও দোকান অন্যত্র সরিয়ে নিতে হবে।
বক্তারা আরও বলেন, ২০১০ সালের ৩ জুন নিমতলীতে একটি ভবনের নিচতলার রাসায়নিক দাহ্য পদার্থের গুদামে অগ্নিকাণ্ডে মুহূর্তেই তা বিস্ফোরিত হয়ে ছড়িয়ে পড়ে। ভয়াবহ এ অগ্নিকাণ্ডে ১২৪ জনের প্রাণহানিসহ ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়।
রাজধানীতে এক হাজারেরও বেশি কেমিক্যাল কারখানা, গুদাম রয়েছে উল্লেখ করে বক্তারা বলেন, এর মধ্যে সাড়ে আটশরও বেশি অবৈধভাবে পরিচালিত হচ্ছে। কেমিক্যাল কারখানা, গুদাম পরিচালনার ক্ষেত্রে পরিবেশ অধিদফতর, জেলা প্রশাসন, বিস্ফোরক অধিদফতর, ফায়ার সার্ভিস, সিটি কর্পোরেশনের ছাড়পত্র বা লাইসেন্স গ্রহণের বিধান রয়েছে। পরিবেশ সংরক্ষণ আইন, ১৯৯৫ অনুযায়ী আবাসিক এলাকায় কেমিক্যাল কারখানা, গুদাম পরিচালনার কোনো সুযোগ নেই।
পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলনের (পবা) চেয়ারম্যান আবু নাসের খানের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন পবার সাধারণ সম্পাদক প্রকৌ. মো. আবদুস সোবহান, নাসফের সাধারণ সম্পাদক মো. তৈয়ব আলী, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ৩৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর হাজী আবদুল আউয়াল, পুরান ঢাকা নাগরিক উদ্যোগের সভাপতি নাজিম উদ্দিন, নাসফের সহ-সম্পাদক মো. সেলিম, ক্যামেলিয়া চৌধুরী, ওহিদুর রহমান, সুবন্ধন সমাজ কল্যাণ সংগঠনের সভাপতি হাবিবুর রহমান হাবিব প্রমুখ।
এএস/এএইচ/এমএস