কমলাপুর স্টেশনে হঠাৎ দুদক টিম
কমলাপুর রেলস্টেশনে ২৬টি কাউন্টারে আজ সকাল থেকেই বিক্রি হচ্ছিল ১২ জুনের ট্রেনের অগ্রিম টিকিট। কাউন্টারগুলোর সামনে তখনও মানুষের দীর্ঘ লাইন। এমন অবস্থায় স্টেশনে হঠাৎ উপস্থিত হন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) একটি টিম।
অগ্রিম টিকিট বিক্রিতে অব্যবস্থাপনা বা যাত্রীদের অভিযোগ আছে কিনা তা জানতে এবং সার্বিক বিষয়ে খোঁজ নিতে ১০ সদস্যের একটি টিম বেলা ১২টার দিকে কমলাপুর স্টেশনে আসেন। দুদকের উপপরিচালক মাহমুদ হাসানের নেতৃত্বে এই টিমটি টিকিট কাউন্টারগুলোর সামনে গিয়ে অপেক্ষমাণ টিকিটপ্রত্যাশীদের সঙ্গে কথা বলেন। তারা টিকিট ঠিকমতো পাচ্ছেন কিনা জানতে চাইলে এক টিকিটপ্রত্যাশী বলেন, সাধারণ টিকিট পাওয়া যাচ্ছে তবে সকাল থেকেই এসি টিকিট পাওয়া যাচ্ছে না। এ সময় তিনি অগ্রিম টিকিটপ্রত্যাশী অন্য যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলেও সার্বিক বিষয় খোঁজ-খবর নেন।
দুদকের উপপরিচালক মাহমুদ হাসান সেখানে উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন, যাত্রীরা যেন দুর্নীতিমুক্ত এবং ঝামেলাহীনভাবে ঈদের অগ্রিম টিকিট কিনতে পারেন সে বিষয়গুলো নিশ্চিত করতেই আমাদের আসা। কিছু অভিযোগ ক্ষতিয়ে দেখতে আমাদের টিম পরিদর্শনে এসেছে, অনেকের সঙ্গে কথা বলে ঘুরে দেখছি সার্বিক ব্যবস্থাপনা। দুর্নীতিমুক্ত ও ঝামেলাহীনভাবে যেন যাত্রীরা টিকিট সংগ্রহ করতে পারেন সে লক্ষ্যে দুদকের অবস্থান থেকে আমাদের যা যা করার দরকার তা করবো।
এর আগে কমলাপুর স্টেশন ম্যানেজার সিতাংশু চক্রবর্তীর কক্ষে দুদক টিম প্রবেশ করে তাকে সঙ্গে নিয়ে টিকিট কাউন্টারের ভেতরের অংশের কার্যক্রম ঘুরে দেখেন।
পরে স্টেশন ম্যানেজার সিতাংশু চক্রবর্তী বলেন, উনারা এসে টিকিট কাউন্টের ভেতরে-বাইরে ঘুরে দেখে সবার সঙ্গে কথা বলেছেন এবং সার্বিক বিষয়ে খোঁজ নিয়েছেন।
কমলাপুর স্টেশন পরিদর্শনে আসা টিমে উপপরিচালক মাহমুদ হাসান ছাড়াও, উপ-সহকারী পরিচালক সাইফুল ইসলামসহ ১০ সদস্য পরিদর্শনে অংশ নেন।
এএস/বিএ/জেআইএম