রান্নার সস কাঁচা খাওয়ায় নান্দোস!
>> নান্দোস রেস্টুরেন্টকে ২ লাখ টাকা জরিমানা
>> নান্দোস ম্যানেজারকে ১৫ দিনের কারাদণ্ড
>> ক্রিমসন কাপকে ২ লাখ টাকা জরিমানা
রান্নার সস কাঁচা খাওয়ানো ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাবার তৈরির অভিযোগে ধানমন্ডির নান্দোস রেস্টুরেন্টকে ২ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
বৃহস্পতিবার দুপুর দেড়টা থেকে ২ ঘণ্টাব্যাপী চলে এ অভিযান। অভিযানে নেতৃত্ব দেন ডিএমপির নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মশিউর রহমান।
অভিযানের শুরুতে নান্দোসের রান্না ঘরে গিয়ে অগোছালো ও নোংরা পরিবেশ দেখা যায় এবং তাদের ব্যবহৃত পেরি পেরি সস উদ্ধার করা হয়। সসটি যাচাই-বাছাই করে দেখা যায়, আমদানির সময় দেশের একমাত্র মান নিয়ন্ত্রণ সংস্থা-বিএসটিআই থেকে ছাড়পত্র নেয়া হয় শুধুমাত্র রান্নায় ব্যবহারের জন্য। তবে তারা রান্নায় ব্যবহার না করে প্যাকেটজাত করে ফ্রাইড রাইস, পেরি পেরি চিকেনসহ নানা খাবারের সঙ্গে পরিবেশন করছে।
ম্যাজিস্ট্রেট মশিউর রহমান জাগো নিউজকে বলেন, তারা সস খাবারের সঙ্গে পরিবেশনের স্বপক্ষে কোনো কাগজপত্র দেখাতে পারেনি। তাই বিএসটিআই অধ্যাদেশ অনুযায়ী এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়া অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে রান্নার জন্য ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনে আরও ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
এদিকে অভিযানের সময় নান্দোস রেস্টুরেন্টের ম্যানেজার আবু সিদ্দিকুর রহমান মজুমদার নানাভাবে সময়ক্ষেপণ ও ফোন দিয়ে মোবাইল কোর্টকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করেন। বিএসটিআই অধ্যাদেশ অনুযায়ী তাকে ১৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়। অনাদায়ে আরও ১ লাখ টাকা জরিমানা করেন আদালত।
এদিকে একই অভিযানে ধানমন্ডির নাসিম স্কয়ারের ক্রিমসন কাপ ক্যাফেতে অভিযান চালানো হয়। অভিযানে ক্যাফের নিজস্ব বিস্কুটে বিএসটিআইয়ের লোগো, উৎপাদন ও মেয়াদোত্তীর্ণ না থাকায় বিএসটিআইয়ের অধ্যাদেশে এবং পেস্ট্রিতে উৎপাদন ও মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ না থাকায় মোট দুইলাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
অভিযানে নাসিম স্কয়ারের আল-ফ্রেসকো রেস্টুরেন্টে অভিযান চালানো হলেও সেখানে কোনো অসঙ্গতি পাওয়া যায়নি।
অভিযান শুরুর পরপর ভবনে অবস্থিত আল-আমার লেবানিজ কাবাবসহ অন্যান্য রেস্টুরেন্টগুলো বন্ধ করে দেয়া হয়।
অভিযানে বিএসটিআই'র প্রতিনিধি ছাড়াও মোহাম্মদপুর থানা পুলিশ ও মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
এআর/জেএইচ/পিআর