ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

তামাকের কারণে প্রতিদিন মারা যাচ্ছে ২৭৭ জন

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৩:৫০ পিএম, ৩০ মে ২০১৮

দেশে তামাক ও তামাকজাতদ্রব্য ব্যবহারে প্রতিদিন ২৭৭ জন মানুষ মারা যাচ্ছে। এমনকি কেউ যদি দিনে একটি করে সিগারেটও খায় তাহলে তার হৃদরোগের ৫০ শতাংশ এবং স্ট্রোকের ঝুঁকি ৩০ শতাংশ বেড়ে যায় বলে জানিয়েছে মানস (মাদকদ্রব্য ও নেশা নিরোধ সংস্থা)।

বুধবার (৩০ মে) জাতীয় প্রেস ক্লাবে বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস (৩১ মে) উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সংস্থাটি এ ভয়াবাহ তথ্য তুলে ধরে।

সংস্থাটির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও জাতীয় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ বোর্ড এবং জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ টাস্কফোর্সের সদস্য অধ্যাপক ড. অরূপরতন চৌধুরী এ তথ্য তুলে ধরেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন- সংস্থার সাংগঠনিক সম্পাদক মতিউর রহমান তালুকদার, কোষাধ্যক্ষ হোসনে আরা রীনা, কার্যকরী সদস্য জাহানারা রশীদ, আব্দুল মতিন প্রমুখ।
ড. অরুপরতন চৌধুরী বলেন, এক গবেষণায় দেখা গেছে দেশে তামাক ও তামাকজাত পণ্য ব্যবহারে বছরে মারা যায় ১০ লাখ মানুষ। যেটা মাসে দাঁড়ায় আট হাজার ৩৩৩ জন। প্রতিদিন সে সংখ্যাটা হচ্ছে ২৭৭। সে হিসেবে প্রতি ঘণ্টায় মারা যাচ্ছে ১২ জন।

তিনি বলেন, প্রতি এক হাজার টন তামাক উৎপাদনে এক হাজার জন মানুষ মারা যান। তামাকের কারণে দেশে ক্যান্সারে ভুগছে ১৩-১৪ লাখ মানুষ। প্রতিবছর ক্যান্সারে আক্রান্ত হচ্ছে আড়াই লাখ এবং মারা যাচ্ছে দুই লাখ মানুষ। মুখ গহ্বর, স্বরযন্ত্র, জিহ্বা ও ফুসফুস ক্যান্সারে প্রায় ৫০ ভাগের জন্যাই দায়ী তামাক ও তামাকজাত দ্রব্য সেবন।

অরুপরতন চৌধুরী বলেন, ২০১৬ সালের এক গবেষণায় দেখা গেছে, অধূমপায়ীদের তুলনায় ধূমপায়ীদের হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি দ্বিগুণ, স্ট্রোকের ঝুঁকি তিনগুণ এবং বুক ব্যথার ঝুঁকি ২০ গুণ বেশি থাকে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য মতে, দেশে হৃদরোগজনিত মৃত্যুর ৩০ শতাংশ দায়ী ধূমপান তথা তামাক ব্যবহার।

অরুপরতন চৌধুরী আরও বলেন, টোব্যাকো অ্যাটলাসের ২০১৬ সালের তথ্য অনুযায়ী মধ্যম সারির মানব উন্নয়ন সূচকে অবস্থানকারী অন্যান্য দেশর তুলানায় বাংলাদেশে তামাক ব্যবহারজনিত মৃত্যুর হার ২৫.৫৪ শতাংশ বেশি। তাই তামাক তথা মাদকাসক্তের কবল থেকে রক্ষা করতে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন জরুরিভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে।

এমইউএইচ/এএইচ/আরআইপি

আরও পড়ুন