রমজানে কলার হালি ৪৮ টাকায় ঠেকেছে
রমজান মাস আসলে দেশে পাকা কলার কদর বেড়ে যায়। কারণ ইফতার ও সেহরিতে কলা অন্যতম একটি অনুসঙ্গ। আর রোজাদারদের এমন চাহিদাকে কাজে লাগিয়ে অধিক মুনাফা লুটছেন বিক্রেতারা। তারা এক হালি অর্থাৎ ৪টি সবরি কলা বিক্রি করছেন ৪৮ টাকায়। তবে মানভেদে ৪০ টাকাতেও পাওয়া যাচ্ছে তা।
বাজার ঘুরে দেখা গেছে সবরি ও সাগর কলা প্রতি ডজন ১২০ থেকে ১৪৪ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে চম্পা, চিনি চম্পা, নেপালি, বাংলা কলা এর চেয়ে কিছুটা কম দামে বিক্রি হচ্ছে। রমজান মাসে কলার চাহিদাকে কাজে লাগিয়ে সবরি ও সাগর কলা প্রতি পিস ১২ টাকা দরে বিক্রি করছেন খুচরা বিক্রেতারা। তবে মানভেদে কিছু কিছু কলা বিক্রি হচ্ছে প্রতি পিস ১০ টাকা দরে।
রমজানের আগে এসব কলার দাম ছিল প্রতি পিস ৫ থেকে ৮ টাকার মধ্যে। অথচ সেই কলার দাম বেড়ে এখন প্রতি পিস বিক্রি হচ্ছে ১২ টাকায়।
রাজধানীর বাড্ডা এলাকার দোকান থেকে কলা কিনছিলেন ফরহাদ হোসেন নামে এক বেসরকারি চাকরিজীবি। তিনি বলেন, ‘রমজান মাসে সব জিনিসের দাম অনেক বেড়ে যায়, যার ফলে মধ্য-নিম্ন আয়ের মানুষ বড়ই অসহায় অবস্থায় আছে। এখন সব জিনিসের দাম অন্য সময়ের চেয়ে বেশি। সাধারণ মানুষ ব্যবসায়ীদের কাছে জিম্মি।’
তিনি বলেন, ‘রমজানের আগে ৭০/৭৫ টাকা হালি দরে যে সবরি কলা কিনেছি এখন সেই কলার দাম ১২০ থেকে ১৪৪ টাকা। অতিরিক্ত মুনাফার জন্য ব্যবসায়ীরা কলার দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন।’
রাজধানীর গুদারাঘাট এলাকায় বিক্রেতা হায়দার হোসেন কলার দাম সম্পর্কে বলেন, আমরা তেজগাঁও ও কলাবাগান থেকে পাইকারি দরে কলা কিনে আনি। বর্তমানে কলার দাম বেশি। কারণ চাহিদার তুলনায় সাপ্লাই কম। আমাদের কেনায় বেশি দাম পড়ায় বিক্রিও করতে হচ্ছে বেশি দামে।
দরদাম সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘আমরা প্রতি পোন (৮০ টি) ৭০০ থেকে ৮০০ টাকায় কিনে আনি। ভাল কলা মাঝে মাঝে আরও বেশি দামে কেনা পড়ে। যে কারণে রমজান মাসে বাধ্য হয়ে কলা বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।
এএস/এমএমজেড/এমএস