আকাশ পথে টিকিটের হাহাকার
অতীতের যে কোনো বছরের তুলনায় এবারের ঈদযাত্রায় অভ্যন্তরীণ রুটে চাহিদা বেড়েছে আকাশপথের। সেই সুযোগে এয়ারলাইন্সগুলো ভাড়া বাড়িয়েছে ১২০ থেকে ১৫০ শতাংশ। ৩ হাজার থেকে সাড়ে ৩ হাজার টাকার টিকিট বিক্রি হচ্ছে ৮ হাজার থেকে ১২ হাজার টাকা পর্যন্ত। তারপরও ঈদের আগের প্রায় ৯০ শতাংশ টিকিট শেষ। আর কিছু টিকিট অবশিষ্ট থাকলেও নিয়মিত ভাড়ার চেয়ে তিন/ চারগুণ দামে বিক্রি হচ্ছে এসব টিকিট। চলছে হাহাকার।
একাধিক এয়ারলাইন্সের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, চাহিদা বাড়ায় অতিরিক্ত ফ্লাইট চালানোর অনুমতি চেয়েছে সবগুলো এয়ারলাইন্স। এর মধ্যে বিমান চেয়েছে ৮টি, ইউএস বাংলা ১৫টি, নভোএয়ার ৮টি, রিজেন্ট ১০টি। ইতোমধ্যে তাদের কেউ কেউ বাড়তি ফ্লাইটের অনুমতি পেয়েও গেছে।
অভ্যন্তরীণ রুটে ফ্লাইট পরিচালনাকারী এয়ারলাইন্স সূত্র জানায়, ঢাকা থেকে সৈয়দপুর রুটে যাত্রীদের ভাড়া (ওয়ানওয়ে) গুনতে হচ্ছে ৭ হাজার ৫০০ থেকে ৮ হাজার ৫০০ টাকা। অন্য সময়ে একই টিকিট বিক্রি হতো সর্বোচ্চ ৩ হাজার ২০০ টাকায়।
একইভাবে ঢাকা থেকে যশোর রুটের ২ হাজার ৫০০ টাকার টিকিট বিক্রি হচ্ছে ৭ হাজার ৫০০ টাকায় এবং ঢাকা থেকে বরিশালে ৩ হাজার টাকার ওয়ানওয়ে টিকিটের দাম রাখা হচ্ছে ৬ হাজার ৫০০ থেকে ৭ হাজার ৫০০ টাকা। ঢাকা থেকে রাজশাহী রুটের টিকিট বিক্রি হচ্ছে ৭ হাজার ৫০০ টাকায়। একই টিকিটের দাম স্বাভাবিক সময়ে ৩ হাজার টাকা।
এদিকে চট্টগ্রামে ফ্লাইট বেশি থাকায় কিছুটা কমে বিক্রি হচ্ছে এ রুটের টিকিট। তারপরও ৩ হাজার ৫০০ থেকে ৬ হাজার টাকা রাখা হচ্ছে টিকিটপ্রতি।
ঢাকা-রাজশাহী রুটের নিয়মিত যাত্রী ইমাম হোসেনকে বিমানের ঈদের টিকিট কাটতে গিয়ে ফেরত আসতে হয়েছে। পরিবারের পাঁচ সদস্যের জন্য টিকিটের অপেক্ষায় আছেন। তিনি বলেন, ‘আগামী ১৪ জুনের টিকিট বিক্রি হচ্ছে ৮ হাজার ২০০ টাকায়। কী করবো বুঝে উঠতে পারছি না।’
এ প্রসঙ্গে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ইমরান আসিফ বলেন, ‘যাত্রীরা যেসব টিকিটের দাম ৮/১০ হাজার টাকা বলছেন, তা কিন্তু একটি ফ্লাইটের মোট আসনের মাত্র ১০ শতাংশেরও কম। ৪০ শতাংশ টিকিট কম দামেই বিক্রি হয়েছে। এটাই এয়ারলাইন্স ব্যবসার নিয়ম। পৃথিবীর সব এয়ারলাইন্স একই নিয়ম প্রাক্টিস করে।’
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের মহাব্যবস্থাপক (পিআর) শাকিল মেরাজ বলেন, ‘এ সময় যাত্রীর চাপ বেশি থাকায় কিছু টিকিটের দাম বেশি নেয়া হয়। এটা সিস্টেমের মধ্যেই হয়। সবচে বড় কথা, প্রতিটি ঈদে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ঘরমুখো মানুষ আকাশপথে যাতায়াত করে।’
আরএম/এমএমজেড/এমএস