কণ্ঠশীলনের নজরুল জয়ন্তী উদযাপন
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১১৯তম জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে ‘উন্নত মম শির’ শীর্ষক আবৃত্তি ও আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে কণ্ঠশীলন। শুক্রবার রাতে নিউ এলিফ্যান্ট রোড, ঢাকার কণ্ঠশীলন কার্যালয়ের ‘রঙধনু সম্মেলন কক্ষে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে কণ্ঠশীলন সভাপতি গোলাম সারোয়ার, অধ্যক্ষ মীর বরকত, সাধারণ সম্পাদক রইস উল ইসলাম, সহ-সভাপতি আহমাদুল হাসান ও মোস্তফা কামাল উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে নজরুলের জীবন ও কর্ম নিয়ে আলোচনা করেন কণ্ঠশীলনের জ্যেষ্ঠ সদস্য তহমিদ আহমেদ, মীর বরকত ও গোলাম সারোয়ার। আবৃত্তি করেন মোস্তফা কামাল ও একেএম শহীদুল্লাহ কায়সার। নজরুলের সাম্যবাদী কবিতা নিয়ে একটি প্রযোজনা উপস্থাপন করে কণ্ঠশীলনের কয়েকজন শিল্পী। প্রযোজনাটির নির্দেশনায় ছিলেন রইস উল ইসলাম।
বক্তারা বলেন, নজরুলের সাহিত্যকর্মে প্রাধান্য পেয়েছে বিদ্রোহ, মুক্তি ও ভালোবাসা। অসংখ্য গান, ছোট গল্প, উপন্যাস নাটক লিখলেও তিনি কবি হিসেবে বেশি পরিচিত। তিনি বাংলা কাব্যে এক নতুন ধারার জন্ম দেন তা হলো ইসলামী গান। নজরুল প্রায় ৩ হাজার গান রচনা ও সুর করেছেন যা নজরুল সংগীত হিসেবে পরিচিত।
নজরুলের জীবন এক বিদ্রোহ, এক মহা বিস্ময়। ধরা-বাঁধা জীবন ও সাহিত্যধারার বিপরীতে তিনি প্রাণের উচ্ছাসে সামনে এগিয়ে চলেছেন। কখনো মসজিদে ইমামতি, কখনো গানের দলের সঙ্গে যাত্রা, আবার রুটির দোকানে চাকরি সেখান থেকে দারোগা বাবুর সঙ্গে গিয়ে স্কুলে ভর্তি। গৎবাঁধা পড়াশোনায় মেট্রিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণের পূর্ব মুহূর্তে তিনি চলে গেলেন যুদ্ধে।
যুদ্ধ থেকে ফিরে এসে কবির লেখায় আরও বেশি করে প্রকাশ পেতে থাকে বিদ্রোহের জয়গান। অসাম্যের বিরুদ্ধে তিনি ছিলেন সোচ্চার। সমকালীন সমাজের হিন্দু ও মুসলিম সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে জীবন ও সাহিত্য দিয়ে লড়াই করেছেন। সময়ের প্রয়োজনে নজরুল এখনও প্রাসঙ্গিক। বৈষম্যের দেয়ালে বিভক্ত বিশ্ব সম্প্রদায়ে মুক্তির বার্তা রয়েছে তার সৃষ্টিকর্মে।
এফএইচএস/এমআরএম/এমএস