নাশকতার পরিকল্পনায় সক্রিয় আনসার আল ইসলাম
‘রাজধানীর পাঁচটি অঞ্চলে বিভক্ত হয়ে সেলভিত্তিক জঙ্গিবাদি কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছিল আনসার আল ইসলাম। ছোট ছোট গ্রুপে বিভক্ত হয়ে দলের কর্মী সংগ্রহসহ রাজধানীতে নাশকতার পরিকল্পনাও ছিল তাদের। গ্রুপগুলোর মাস্টারমাইন্ড ছিল আটক মহিবুর ও এরশাদুল।’
বৃহস্পতিবার বিকেলে কারওয়ান বাজারের র্যাব মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে র্যাব-৩ এর অধিনায়ক (সিও) লেফটেন্যান্ট কর্নেল এমরানুল হাসান এসব কথা বলেন।
মুগদা, যাত্রাবাড়ী ও বাড্ডা এলাকায় বৃহস্পতিবার ভোরে অভিযান চালিয়ে নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের ৭ সক্রিয় সদস্যকে আটক দাবি করে র্যাব। এরপর র্যাব এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে।
আটকরা হলেন- মো. কামাল (৩৭), সিফাত (৩০), দিদারুল ইসলাম (২৬), রিফাতুল্লাহ সাব্বির খান (১৯), শীতল মিয়া (২৭), মহিবুর ওরফে রাকিব ওরফে আবু উমাম ওরফে বাবু (২৪) ও এরশাদুল হক টিটু (২৪)। তাদের কাছ থেকে বিপুর পরিমাণ বিস্ফোরক, বোমা তৈরির সরঞ্জামাদি ও উগ্রবাদী বই উদ্ধারের দাবি করেছে র্যাব।
লেফটেন্যান্ট কর্নেল এমরানুল হাসান বলেন, ‘গ্রেফতারকৃত মহিবুর রমহান ও এরশাদুল হক বারিধারার ব্লুমফিল্ড ইন্টারন্যাশনাল স্কুল অ্যান্ড কলেজে শিক্ষক হিসেবে কর্মরত। এদের মধ্যে মহিবুর রহমান আনসার আল ইসলামের অন্যতম সমন্বয়ক এবং পরিকল্পনাকারী। তিনি গোপনে দাওয়াতি কার্যক্রম পরিচালনা করতেন। বিভিন্ন ফেসবুক পেজে উগ্রবাদী প্রচার প্রচারণা চালাতেন তিনি।’
‘এরশাদুল হক সংগঠনের একজন রিক্রুট ও মোটিভেটর হিসেবে কাজ করতেন। তিনি বিভিন্ন সময় বক্তব্য অডিও, ভিডিও এবং জিহাদি পোস্ট শেয়ার করার মাধ্যমে সংগঠনের কর্মীদের জিহাদে উদ্বুদ্ধ করতেন। এ ছাড়া তিনি তার সহকর্মী মুহিবের সহযোগিতায় জসিম উদ্দিন রহমানীর বিভিন্ন বক্তৃতা, আফগানিস্তানে হাফেজ হত্যা প্রভৃতি ভিডিও ইন্টারনেটে শেয়ার করেন,’ বলেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘গ্রেফতারকৃত কামাল উদ্দিন ও সিফাত এই সংগঠনের অতি গুরুত্বপূর্ণ সদস্য এবং তারা দুজনই ধ্বংসাত্মক কাজের জন্য বোমা তৈরিতে পারদর্শী। এদিকে, দিদার সাব্বির এই সংগঠনের সক্রিয় সদস্য। তারা রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় আনসার আল ইসলামের আঞ্চলিক সমন্বয়ক হিসেবে কাজ করতেন। এ ছাড়া কামাল উদ্দিন ও দিদারুল ইসলাম সাব্বির খান ও শীতল মিয়া প্রায় সময় গোপন সভায় অংশগ্রহণ করতেন।’
আসামিদের আরও জিজ্ঞাসাবাদ করে আইনি ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানান তিনি।
জেইউ/জেডএ/বিএ