সকালের ৫২ মিলিমিটার বৃষ্টির জলাবদ্ধতা দুপুরেও নামেনি
‘রাস্তাঘাটে জলাবদ্ধতার দায় কি শুধু সিটি কর্পোরেশন কিংবা ওয়াসার একার। এই যে দ্যাখেন বৃষ্টির পানি নামার জন্য ড্রেন কেটে মেইন লাইনের লগে সংযোগ দেয়া হইছে। পলিথিনসহ প্লাষ্টিকের ময়লা আবর্জনা আটকাতে মেইন লাইনের মুখে নেট লাগানো হইছে। অবস্থাটা দেখেন কি পরিমাণ পলিথিন, প্লাষ্টিক পানির লগে ভাইস্যা আইতাছে। খালি সিটি কর্পোরেশন অথবা ওয়াসারে দোষ না দিয়া মাইনষেরেও সচেতন হইতে হইবো।’
বুধবার দুপুর পৌনে ১২টার সময় রাজধানীর নিউ মার্কেটের ১ নম্বর গেটের অদূরে দাঁড়িয়ে রাস্তায় গাড়ি পার্কিংয়ের দায়িত্বরত এক কর্মচারী মার্কেটের এক নিরাপত্তারক্ষীকে উদ্দেশ্য করে এ কথা বলছিলেন। তিনি বলেন, এই ব্যবস্থা নেয়ায় পানি আগের চেয়ে দ্রুত নামছে।
সরজমিনে পরিদর্শনকালে দেখা যায় সকালের বৃষ্টিতে নিউ মার্কেটের সামনে জমে থাকা পানি দুপুর ১২টার সময়ও সম্পূর্ণরূপে নেমে যায় নি। ফলে পথচারীদের আজিমপুর পুরাতন কবরস্থানের উত্তরদিকের গেটের সামনে থেকে নীলক্ষেত মোড় পর্যন্ত জমে থাকা পানি ভাড়ায়চালিত ভ্যান অথবা রিকশায় করে পার হতে হয়েছে।
জলাবদ্ধতার কারণে সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগ পোহাতে হয় নিম্নআয়ের, বিশেষ করে গার্মেন্ট কর্মীদের। পুরান ঢাকার বিভিন্ন এলাকা থেকে সাত সকালে নিজ কর্মস্থলে রওনা হওয়া শ্রমজীবীরা বৃষ্টিতে ছাতা মাথায় বের হলেও নিউ মার্কেটের সামনে এসে পানির কারণে আটকা পড়েন। তাদের কেউ কেউ কাপড় ভিজিয়েই পার হন। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পানি নামতে শুরু করলে দুর্ভোগ কমতে থাকে।
আজ এ অবস্থা শুধু নিউ মার্কেটের সামনেই নয়, রাজধানীর আজিমপুর, মিরপুর, উত্তরা, ধানমন্ডিসহ বিভিন্ন এলাকায় বৃষ্টির কারণে জলাবদ্ধতা দেখা দেয়, ব্যাহত হয় স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। জলাবদ্ধতার কারণে অনেক স্থানে সৃষ্টি হয়েছে তীব্র যানজট।
আবহাওয়া অধিদফতর সূত্রে জানা যায়, আজ (বুধবার) সকাল ৬টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত রাজধানীতে ৫২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়। এর আগে গতকাল (মঙ্গলবার) সকাল ৬ টা থেকে বুধবার সকাল ৬টা পর্যন্ত বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ছিল ১২ মিলিমিটার। গত ৩০ ঘণ্টার ৬৪ মিলিমিটার বৃষ্টিতেই রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ও পাড়া-মহল্লায় রাস্তাঘাটে পানি জমে যায়।
এমইউ/এমএমজেড/এমএস