মিরপুরে কেমিকেলে পাকানো ১১ শ' মণ আম ধ্বংস
স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকারক ইথোফেন কেমিকেল ব্যবহারে পাকানো ১১শ’ মণ আম জব্দের পর ধ্বংস করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
বিএসটিআইয়ের সহযোগিতায় র্যাব-৪ এর সদস্যরা শনিবার সকাল ৮টা থেকে রাজধানীর হযরত শাহ আলী মাজারের পাশে দিয়াবাড়ী ফলের আড়তে এ অভিযান চালিয়ে এসব আম জব্দ করা হয়। পরে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) সহযোগিতায় দিয়াবাড়ী বালুরমাঠে জব্দ করা আম ধ্বংস করা হয়।
অভিযানে ভ্রাম্যমাণ আদালত ১৪টি প্রতিষ্ঠানের ১১শ’ মণ আম জব্দ ও আটক ৫ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেয়। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন র্যাব সদর দফতরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলম।
তিনি বলেন, ‘আম ক্যালেন্ডার অনুযায়ী আম পাকতে আরও কমপক্ষে ১০ দিন সময় লাগবে। কিন্তু অসাদু ব্যবসায়ীরা কেমিকেল ব্যবহারে জোরপূর্বক আম পাকাচ্ছে। ইথোফেন কেমিকেলের গায়ে লেখা আছে এটি ফল পাকানোর ক্ষেত্রে ব্যবহার অনুপযোগী। কিন্তু অসাদু ব্যবসায়ীরা ক্ষতিকর কেমিকেল ইথোফেন ব্যবহার করছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘পর্যবেক্ষণ করে দেখা গেছে, ইথোফেন ব্যবহৃত ফল খেলে ডায়রিয়া, চুলকানিসহ দীর্ঘ মেয়াদী অসুখ হচ্ছে। অভিযানকালে সরেজমিনে দেখা যায়, লাল পাকা আম। বাইরে থেকে দেখে বোঝার কোনো উপায় নেই অধিকাংশ আমই অপরিপক্ক। বিশাল ফলের আড়ত জুড়ে পরিপক্ক আম নেই বললেই চলে।’
‘এসব আম ক্যালসিয়াম কারবাইড ও ইথাফেন দিয়ে পাকানো’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘কেমিকেল দেয়ার কারণে আমের উপরের অংশ পাকা দেখা যায়। অথচ ভেতরের অংশ কাঁচা।’
এই নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বলেন, ‘অভিযানে অপরাধ স্বীকারের ভিত্তিতে মোট ১৪ প্রতিষ্ঠানের ৬ জনকে সর্বোচ্চ এক বছরসহ বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। এরা হলেন- ফয়সাল আহমেদ (২৫), মো. নুরুল (৭৩), মো. তাবারুল (২৬), মো. রমজান আলী (২৯), মো. আব্দুস সোবহান (৪২) ও মনিরুল ইসলাম (৫৫)।’
অভিযানে অংশ নেন র্যাব-৪ এর কোম্পানি কমান্ডার (সিপিসি-১) মেজর সাইফুদ্দিন ও বিএসটিআইয়ের মাঠ কর্মকর্তা মো. শরীফ হোসেন।
জেইউ/এমএমজেড/এমএস