‘ঝড়বৃষ্টি অইলেও চকবাজারের ইফতার বাজার বইবো’
‘আরে ভাইজান কী যে কন, এই বৃষ্টি তো কিছুই না, আরও ঝড়বৃষ্টি অইলে ভি চকবাজারের ইফতারের বাজার বইবো। অই বেডা জলদি তাবু টানা। নামাজ পইড়াই মাইনষের ঢল নামবো।’ রমজানের প্রথম দিন শুক্রবার (১৮ মে) দুপুর সোয়া ১২টায় রাজধানীর চকবাজারের রাস্তায় ইফতারির টেবিল সাজাতে সাজাতে ইফতার বিক্রেতা আল আমিন এমনভাবেই কথাগুলো বলছিলেন।
শুক্রবার সকাল থেকে দেশের বিভিন্ন জায়গাসহ ঢাকাতেও থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে। বাইরে তখন ঝিরঝির বৃষ্টি পড়ছে। রাস্তায় কাদা জমেছে। ছুটির দিন হওয়ায় দোকানপাট বন্ধ, সড়কে যানবাহনের সংখ্যাও কম। হলুদ পোশাক পড়া সিটি কর্পোরেশনের নিরাপত্তাকর্মীরা চকবাজার থানার সামনে ভারি যানবাহন থামিয়ে দিচ্ছিলেন।
রমজানে অন্যান্য বছর দুপুর ১২টার মধ্যে চকবাজারের বিভিন্ন মজাদার ইফতার সামগ্রী ভেজে সাজিয়ে রাখা শুরু করলে বৃষ্টির কারণে আজ (১৮ মে, শুক্রবার) দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত বলতে গেলে দোকানপাটের টেবিলে ইফতার সামগ্রী ওঠেনি। চকবাজার বনফুল মিষ্টান্ন ভান্ডারের সামনে থেকে চকবাজার শাহী মসজিদ পর্যন্ত বিভিন্ন বিক্রেতাকে টেবিল সাজাতে দেখা যায়। এছাড়া বৃষ্টির কারণে প্রতিটি দোকানে বড় বড় পলিথিন দিয়ে তাবু টানাচ্ছেন দোকান কর্মচারীরা।
হাতে গোনা কিছু সংখ্যক দোকানে পিয়াজু, আলুচপ, বেগুনি, জিলাপি ভেজে পলিথিন দিয়ে ঢেকে রাখতে দেখা যায়। বিভিন্ন ফলের দোকানদারকে ফলমুল ধুয়ে সাজাতে দেখা গেছে।
আহমেদিয়া লাইব্রেরির সামনে আব্দুর রউফ নামে একজন দোকানি জানান, বৃষ্টি হলেও চকবাজারে ইফতার যারা নিয়মিত কিনেন তারা ঠিকই ইফতার কিনতে ছুটে আসবেন। তবে বৃষ্টি থাকলে বেচাকেনা কিছুটা কমে যায়। কত পরিমাণ মালামাল বানাতে হবে তা আন্দাজ করতে সমস্যা হয়।
পুরান ঢাকার লালবাগের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, বৃষ্টির কারণে মৌসুমী ইফতার সামগ্রি বিক্রেতারা অনেকটা বিপাকে পড়েছেন। মৌসুমী ব্যবসায়ীরা রাস্তার পাশেই ইফতার সামগ্রি তৈরি করে। তবে বৃষ্টির কারণে তা চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে বলে জানান তারা।
এমইউ/আরএস/এমএস