ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

সংগঠন শক্তিশালী হলে যেকোনো কিছু অর্জন সম্ভব : প্রধানমন্ত্রী

বিশেষ সংবাদদাতা | প্রকাশিত: ১০:০১ পিএম, ১৭ মে ২০১৮

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শে ঐক্যবদ্ধ থেকে সংগঠনকে আরও শক্তিশালী করতে হবে। আমাদের মনে রাখতে হবে, সংগঠন যদি শক্তিশালী হয়, সংগঠনে যদি ঐক্য থাকে আর এই সংগঠন যদি জনগণের পাশে থেকে জনমত সৃষ্টি করতে পারে তখনই যেকোন কিছু অর্জন করা সম্ভব হয়। যা আমরা বার বার প্রমাণ করেছি।

প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে আওয়ামী লীগ এবং তার সহযোগী সংগঠনের নেতারা শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে বৃহস্পতিবার শুভেচ্ছা জানাতে এলে তিনি এ কথা বলেন।

১৯৭৫ এর বিয়োগান্তক অধ্যায়ের পর শেখ হাসিনাকে প্রবাসে দীর্ঘদিন রিফ্যুজি হিসেবে কাটানোর পর আওয়ামী লীগ তাকে সভাপতি নির্বাচন করলে ১৯৮১ সালের এই দিনে তিনি দেশে ফিরে আসেন। প্রথমে দলের সিনিয়র নেতাকর্মীরা প্রধানমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা জানান।

দলের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য এবং শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, সভাপতি মণ্ডলীর সদস্য কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী, অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন, দলের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, যুগ্ম সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ এবং ডা. দীপু মনিসহ দলের কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ উত্তর ও দক্ষিণ, আওয়ামী যুব লীগ, ছাত্রলীগ, আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ, কৃষক লীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ, বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ, যুব মহিলা লীগ, জাতীয় শ্রমিক লীগ, তাঁতি লীগ, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন এবং মহিলা শ্রমিক লীগের নেতাকর্মীরা শুভেচ্ছা জানান প্রধানমন্ত্রীকে।

প্রধানমন্ত্রী এদিন তার ভাষণে দেশে ফেরা থেকে শুরু করে তার রাজনৈতিক জীবনের বিভিন্ন ঘাত প্রতিঘাত, আন্দোলন-সংগ্রাম এবং দেশ পরিচালনার ক্ষেত্রে বিভিন্ন চ্যালেঞ্জসমূহ তুলে ধরেন এবং তার অবর্তমানে আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব খোঁজার জন্যও দলীয় নেতাকর্মীদের পরামর্শ দেন।

ছাত্র রাজনীতি করলেও আওয়ামী লীগের মতো সংগঠনের দায়িত্ব নেয়াটা একটা বিরাট চ্যালেঞ্জ ছিল উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, একটা সময়ে তিনি দেশে ফেরেন। জাতির পিতার খুনিরা তখন পুরস্কৃত হয়ে বহাল তবিয়তে, ইনডেমনিটি অর্ডিন্যান্স থাকায় পিতা হত্যার বিচার চাইতে পারছেন না, জিয়া তখন নিজেকে রাষ্ট্রপতি ঘোষণা করে প্রতিরাতে কারফিউ দিয়ে দেশ চালাচ্ছে। আর ভাঙার চেষ্টা চলছে আওয়ামী লীগকে।

জিয়াউর রহমান হত্যাকাণ্ডের পর সেনাবাহিনীর অফিসারদের হত্যার ষড়যন্ত্রের ব্লুপ্রিন্ট বাস্তবায়ন করা হয়েছে এমন অভিযোগ করে তিনি বলেন, জিয়া তার দলের ভেতরের অভ্যন্তরীণ কোন্দলে চট্টগ্রামে নিহত হন।

জিয়া নিহত হবার পর বিচারের নামে প্রহসন করে ১২ জন তরুণ অফিসারকে মারা হলো, অনেকে কিছুই জানে না ঘরে বসে টেলিভিশন দেখছে তাকেও ফাঁসি দেয়া হয়েছে,’ বলেন প্রধানমন্ত্রী।

শেখ বলেন, যদি কেউ সাক্ষীদের নির্যাতন বা অত্যাচার করেন তাহলে তারাও যুদ্ধাপরাধী হিসেবে বিচারের সম্মুখীন হবে এবং তাদেরও একেবারে ক্যাপিটাল পানিশমেন্ট দেয়া হবে।

প্রধানমন্ত্রী তার ভাষণে দেশের তথাকথিত বুদ্ধিজীবী শ্রেণি যারা দেশের গণতন্ত্র দেখতে পান না, তাদের কঠোর সমালোচনা করে এদেরকে সামরিক সরকারগুলোর সুবিধাভোগী বলে উল্লেখ করেন। অবৈধভাবে দল গঠনের মধ্যে তারা গণতন্ত্র পায়।

শেখ হাসিনা বলেন, ৩৭ বছর হয়ে গেছে এ দলের সভাপতি হিসেবে, এতগুলো বছর থাকাটা বোধ হয় সমীচীন নয়। আওয়ামী লীগকে মনে হয় ধীরে ধীরে চিন্তা করতে হবে তার নতুন নেতৃত্বের কথা। তিনি সততার সঙ্গে রাজনীতি করার এবং পাওয়া না পাওয়ার হিসেব না মেলাতে দলীয় নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, কতটুকু দিতে পারলাম, কতটুকু করবো সেটাই বড় কথা।

এফএইচএস/এমআরএম/জেআইএম

আরও পড়ুন