ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

ঘূর্ণিঝড় কোমেন : সন্দ্বীপের কয়েকটি ইউনিয়ন প্লাবিত

প্রকাশিত: ০৬:৩৯ পিএম, ৩০ জুলাই ২০১৫

ঘূর্ণিঝড় কোমেন রাত ১০টার দিকে সন্দ্বীপের দক্ষিণ-পশ্চিম দিয়ে অতিক্রম করছিল বলে আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে। এসময় সন্দ্বীপের দক্ষিণে সারিকাইত, মাদভাঙ ইউনিয়নের বেশ কিছু এলাকায় জলোচ্ছ্বাসে খবর পাওয়া গেছে। তবে হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।

সন্দ্বীপ অধিকার সংরক্ষণ কমিটির নেতা আমজাদ হোসেন জানান, রাত ১০টার দিকে সন্দ্বীপের দক্ষিণ-পশ্চিমের কয়েকটি ইউনিয়ন প্লাবিত হয়েছে। তবে আগে থেকেই লোকজনকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেয়ায় কোনো ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। তবে ঘূর্ণিঝড় কোমেন ক্রমশ দুর্বল হয়ে পড়েছে বলে তাদের ধারণা।

এদিকে রাত ১০টায় এ রিপোর্ট লিখা পর্যন্ত চট্টগ্রাম শহর ও তার আশপাশের এলাকায় বৃষ্টিপাত বন্ধ রয়েছে। তবে চট্টগ্রামের আশপাশের উপজেলাগুলোতে বেশ বৃষ্টি হচ্ছে বলে স্থানীয়রা জানান। কোমেন মোকাবেলায় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সার্বিক প্রস্তুতি গ্রহণ করে সার্বক্ষণিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে বলে জানা গেছে।

উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় কোমেন মধ্যরাতে সন্দ্বীপের উপর দিয়ে চট্টগ্রাম উপকূল অতিক্রম করার কথা ছিল। বিকেল ৩টার দিকে এটির অবস্থান ছিল চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দর থেকে ৫৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে।

আবহাওয়া অধিদফতরের সর্বশেষ ব্যুলেটিনে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, উপকূল অতিক্রম করার পর ঘূণিঝড়টি পশ্চিম উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে বৃষ্টি ঝরিয়ে ক্রমান্বয়ে দুর্বল হয়ে যেতে পারে। এদিকে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় ৮৯ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিস।

আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর, ভোলা, বরিশাল, পটুয়াখলী, বরগুনা, ঝালকাঠী, পিরোজপুর, সাতক্ষীরা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে তিন থেকে পাঁচ ফুট অধিক উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।

বিএ