কোটা নিয়ে হয়তো শিগগিরই সিদ্ধান্ত পাব : মন্ত্রিপরিষদ সচিব
সরকারি চাকরিতে কোটা বিষয়ে শিগিগিরই সিদ্ধান্ত পাওয়া যাবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম। সোমবার (১৪ মে) মন্ত্রিসভা বৈঠক শেষে সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ আশার কথা জানান।
কোটার বিষয়ে সর্বশেষ অবস্থা জানতে চাইলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘কোটা নিয়ে আলোচনা (মন্ত্রিসভা বৈঠকে) হয়নি। কিন্তু কোটাটা প্রক্রিয়াধীন আছে, হয়তো কিছু দিনের মধ্যে হয়ে যাবে। আমি যতদূর শুনেছি এর (কোটার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে মন্ত্রিপরিষদ সচিবের নেতৃত্বে কমিটি গঠন) সামারি (সার সংক্ষেপ) অলরেডি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে (প্রধানমন্ত্রীর কাছে) চলে গেছে। হয়তো আমরা শিগগিরই সিদ্ধান্ত পাব, ইনশাল্লাহ।’
কমিটি কবে নাগাদ গঠন হবে -এ বিষয়ে শফিউল আলম বলেন, ‘এখনও আমরা কোনো (কমিটি গঠনের) প্রজ্ঞাপন পাইনি, হয়তো হয়ে যাবে খুব তাড়াতাড়ি।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘোষণা অনুযায়ী সরকারি চাকরিতে কোটা প্রথার বিলুপ্তির প্রজ্ঞাপন চেয়ে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করে শাহবাগ মোড়ে অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী ও চাকরি প্রত্যাশীরা। এর আগে পূর্বঘোষণা অনুযায়ী সোমবার সকাল থেকেই ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করে বিক্ষোভ করেন তারা।
বর্তমানে সরকারি চাকরিতে সংরক্ষিত কোটা ৫৬ শতাংশ। বাকি ৪৪ শতাংশ নেয়া হয় মেধা যাচাইয়ের মাধ্যমে। বিসিএসে নিয়োগের ক্ষেত্রে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় ৩০, জেলা কোটায় ১০, নারী কোটায় ১০ ও উপজাতি কোটায় ৫ শতাংশ চাকরি সংরক্ষণ করা আছে। এই ৫৫ শতাংশ কোটায় পূরণযোগ্য প্রার্থী পাওয়া না গেলে সেক্ষেত্রে ১ শতাংশ পদে প্রতিবন্ধী নিয়োগের বিধান রয়েছে।
এ কোটা ব্যবস্থা সংস্কারের দাবিতে বেশ কিছুদিন ধরেই আন্দোলন করে আসছেন শিক্ষার্থীরা। কোটা সংস্কারের দাবিতে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সড়ক অবরোধ করছিলেন তারা। গত ৯ এপ্রিল আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে বৈঠক করেন আন্দোলনকারীরা। সেখানে পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে কোটার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে ৭ মে পর্যন্ত সময় নেন ওবায়দুল কাদের। এরপরেরও আন্দোলন চালিয়ে যান শিক্ষার্থীরা।
কোটা সংস্কারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ১১ এপ্রিল বুধবার জাতীয় সংসদে কোটা ব্যবস্থা বাতিলের কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কোটা নিয়ে যখন এতকিছু, তখন কোটাই থাকবে না। কোনো কোটারই দরকার নেই। যারা প্রতিবন্ধী ও ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী তাদের আমরা অন্যভাবে চাকরির ব্যবস্থা করে দেব।’
প্রধানমন্ত্রী ওই বক্তব্য অনুযায়ী কোটা নিয়ে কোনো প্রজ্ঞাপন জারি করায় ফের সোচ্চার হয়েছেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা।
আরএমএম/আরএস/জেআইএম