সিআইপি নির্বাচিত হলেন ৩৫ প্রবাসী বাংলাদেশি
দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ২০১৬ সালের ৩৫ জন অনাবাসী বাংলাদেশিকে সিআইপি (কমার্শিয়াল ইম্পটেন্ট পারসন-বাণিজ্যিক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি) নির্বাচিত করেছে সরকার। প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় থেকে সম্প্রতি এ সংক্রান্ত একটি আদেশ জারি করা হয়েছে।
‘বাংলাদেশে বৈধ চ্যানেলে সর্বাধিক বৈদেশিক মুদ্রা প্রেরণকারী অনাবাসী বাংলাদেশি’ ক্যাটাগরিতে ২৯ জন ও ‘বিদেশে বাংলাদেশি পণ্যের আমদানিকারক অনাবাসী বাংলাদেশি’ ক্যাটাগরিতে ৬ জন সিআইপি হয়েছেন।
‘বাংলাদেশে বৈধ চ্যানেলে সর্বাধিক বৈদেশিক মুদ্রা প্রেরণকারী অনাবাসী বাংলাদেশি’ ক্যাটাগরিতে সিআইপি কার্ডের জন্য মনোনীতরা হলেন- দুবাই প্রবাসী কুমিল্লার মোসাম্মাৎ জেসমিন আক্তার, সিলেটের মোহাম্মদ মাহতাবুর রহমান, কক্সবাজারের মোহাম্মদ ইসমাইল, চট্টগ্রামের মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন, মৌলভীবাজারের মোহাম্মদ হাশিম, কুমিল্লার আবুল কালাম, ঢাকার আব্দুল গণি চৌধুরী।
আবুধাবী প্রবাসী চট্টগ্রামের পাঁচলাইশের নুরুল আলম ও ঢাকার গুলশানের এ এইচ এম তাজুল ইসলাম, চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের মোহাম্মদ আলী, চট্টগ্রামের রাউজানের মোরশেদুল ইসলাম ও মোহাম্মদ ফরিদ আহমেদ, সংযুক্ত আরব আমিরাতের সারজাহ প্রবাসী হবিগঞ্জের রাখাল কুমার গোপ সিআইপি নির্বাচিত হয়েছেন।
এছাড়া সর্বাধিক বৈদেশিক মুদ্রা প্রেরণকারী শ্রেণিতে সিআইপি নির্বাচিত হয়েছেন- ওমান প্রবাসী চট্টগ্রামের আনোয়ারার মোহাম্মদ মোসাদ্দেক চৌধুরী, চট্টগ্রামের রাউজানের মোহাম্মদ আশরাফুর রহমান, মোহাম্মদ শামসুল আজিম ও মোহাম্মদ ইয়াসিন চৌধুরী। এছাড়া ওমান প্রবাসী চট্টগ্রামের সাতকানিয়ার হাফেজ মোহাম্মদ ইদ্রিস, লক্ষ্মীপুর সদরের আব্দুল জলিল।
যুক্তরাজ্য প্রবাসী মৌলভীবাজারের মোহাম্মদ আব্দুল রহিম, ঢাকার গুলশানের মোহাম্মদ আদনান ইমাম, ঢাকার বনানীর মোহাম্মদ মহসীন আলম। সিঙ্গাপুর প্রবাসী ঢাকার রামপুরার মো. সাজ্জাদ হোসেন, কাতার প্রবাসী ঢাকার গুলশানের আহম্মদ আল জামান, চট্টগ্রামের মোহাম্মদ আবু তালেব, পাবনার ঈশ্বরদীর আব্দুল আজিজ খান, অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী ঢাকার ধানমন্ডির শহীদ হোসেন জাহাঙ্গীর, হংকং প্রবাসী নোয়াখালী সেনবাগের মো. আহমুদুর রহমান ও জাপান প্রবাসী ঢাকা ক্যান্টনমেন্টের কাজী সারওয়ার হাবিব সিআইপি নির্বাচিত হয়েছেন।
‘বিদেশে বাংলাদেশি পণ্যের আমদানিকারক অনাবাসী বাংলাদেশি’ শ্রেণিতে সিআইপি নির্বাচিত হয়েছেন- চট্টগ্রামের হাটহাজারীর সংযুক্ত আরব আমিরাতের শারজাহ প্রবাসী মোহাম্মদ সেলিম, চট্টগ্রামের পাঁচলাইশের দুবাই প্রবাসী নুরুল আলম, চট্টগ্রামের মীরেরসরাইয়ের ওমান প্রবাসী এ এইচ বদর উদ্দিন, ঝিনাইদহের রাশিয়া প্রবাসী মো. ফিরোজ উল আলম, চট্টগ্রামের হাটহাজারীর কুয়েত প্রবাসী আবুল কাশেম ও চট্টগ্রামের চাটগাঁওয়ের কাতার প্রবাসী মোহাম্মদ আবু তালেব।
নির্বাচিত সিআইপিরা এক বছর পর্যন্ত (প্রজ্ঞাপন জারির তারিখ থেকে) বিভিন্ন ধরনের সুযোগ-সুবিধা ভোগ করবেন। সিআইপি কার্ডের মেয়াদকালীন বাংলাদেশ সচিবালয়ে প্রবেশের জন্য প্রবেশপত্র পাবেন ও সরকার নিয়োজিত সংশ্লিষ্ট বিষয়ক নীতি নির্ধারণী কমিটিতে সদস্য হিসাবে অর্ন্তভুক্ত হবেন।
সিআইপিরা দেশ ও বিদেশে উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে অগ্রাধিকার পাবেন। বিজয় দিবস, স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস, ঈদুল ফিতর, ঈদুল আযহা, একুশে ফেব্রুয়ারি, শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ইত্যাদি জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ দিবস উপলক্ষে বিদেশের বাংলাদেশ মিশনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত হবেন তারা।
সিআইপি কার্ডধারীরা ব্যবসা সংক্রান্ত ভ্রমণে বিমান, রেল, সড়ক ও জলযানে আসন সংরক্ষণের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পাবেন। বিমান বন্দরে ভিআইপি লাউঞ্জ ‘চামেলী’ ব্যবহার এবং স্পেশাল হ্যান্ডিলিংয়ের সুবিধা পাবেন। সিআইপি ব্যক্তিদের স্ত্রী, পুত্র, কন্যা ও নিজের চিকিৎসার জন্য সরকারি হাসপাতালে কেবিন সুবিধার ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পাবেন।
এছাড়া বাংলাদেশে বিনিয়োগ করলে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের মতো সুযোগ-সুবিধা পাবেন এবং তাদের বিনিয়োগ ‘ফরেন প্রাইভেট ইনভেস্টমেন্ট (প্রমোশন অ্যান্ড প্রটেকশন) আইন, ১৯৮০’ এর বিধান অনুযায়ী সংরক্ষণ করা হবে বলেও আদেশে উল্লেখ করা হয়েছে।
আরএমএম/আরএস/জেআইএম