ঢামেক থেকে মরদেহ নিয়ে পালালো সহকর্মীরা
ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগ থেকে ময়নাতদন্তের কাগজপত্র ছাড়ায় এক ব্যক্তির মরদেহ নিয়ে পালিয়েছে তার সহকর্মীরা।
শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে কামরাঙ্গীরচরের বাদশা মিয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশের একটি নির্মাণাধীন ভবনের তিন তলায় কাজ করার সময় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে নিচে পড়ে যান অাব্বাস অালী (২৫) নামে এক নির্মাণ শ্রমিক। গুরুত্বর অাহতাবস্থায় সহকর্মী রিয়াজ ও সোহাগসহ ১০/১২ জন ঢামেকে নিয়ে যায়। হাসপাতালে অানার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করলে সহকর্মীরা কৌশলে মরদেহ নিয়ে পালিয়ে যায়। এ সময় কর্তব্যরত অানসার সদস্যরা বাধা দিলে মৃত অাব্বাসকে অন্য হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার কথা জানায়।
এ ঘটনায় জড়িত সোহাগ ও রিয়াজের ব্যবহৃত মুঠোফোনে কল দিলে পরিচয় জানতে পেরে ফোনটি বন্ধ করে দেয়।
নিহত আব্বাসের গ্রামের বাড়ি ভোলা জেলার চরফ্যাশন উপজেলায়।
কর্তব্যরত অানসার সদস্য সুমন জাগো নিউজকে বলেন, অাব্বাসকে হাসপাতালে অানার পর চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন। এ ধরনের মৃত্যু পর নিয়মানুযায়ী ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানোর কথা। কিন্তুু নিহতের সহকর্মীরা কৌশলে অামরা কিছু বুঝে উঠার অাগেই বাইরে নিয়ে চলে যায়। বাধা দিলে অাব্বাসকে অন্য হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছে বলে জানায়। পরে জানতে পারি তারা মিথ্যা বলেছে।
ঢামেক ক্যাম্প পুলিশের ইনচার্জ এসআই বাচ্চু মিয়া জানান, এ ঘটনা কামরাঙ্গীরচর থানাকে জানানো হয়েছে। মরদেহ যেখানেই নেয়া হোক না কেন হাসপাতালেই ফের অানতে হবে।
এসএইচ/জেএইচ/পিআর