মন খারাপের কিছু নেই, অবশ্যই উৎক্ষেপণ হবে
বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ উৎক্ষেপণে দেরি হওয়ায় মন খারাপ না করার জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, অবশ্যই বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ উৎক্ষেপণ হবে, আমরা মহাকাশ জয় করব, ইনশা-আল্লাহ।
রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ছাত্রলীগের ২৯তম জাতীয় সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, উৎক্ষেণের মাত্র ৪৬ সেকেন্ড আগে উৎক্ষেপণ বন্ধ হয়ে গেল। এটি খুব সেনসেটিভ বিষয়।
‘আমি জয়কে বলেছিলাম, স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের আগ মুহূর্তে আমাকে ফোন দিবা। ও উৎক্ষেপণের ১৫ মিনিট আগে আমাকে ফোন দেয়। কাউন্ট-ডাউন শুরু হয়। কিন্তু ঠিক ৪৬ সেকেন্ড আগে বন্ধ হয়ে যায়।’
তিনি বলেন, আপনারা জানেন, যারা বিজ্ঞানের ছাত্র তারা জানবেন, যান্ত্রিক ত্রুটি হতেই পারে। এভাবে অনেক স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ বন্ধ হয়ে যায়।
‘আকাশে যদি মেঘ জমে থাকে স্যাটেলাইট যাবে না, বায়ু পরিবর্তন থাকলেও যাবে না। আজ আবারও উৎক্ষেপণের চেষ্টা করা হবে। আগের ঠিক একই সময়ে এটি উৎক্ষেপণ করা হবে। নির্ধারিত সময়ের পরে আরও দুই ঘণ্টা সময় আমরা পাব। আজও যদি সম্ভব না হয় তাহলে নির্মাণ প্রতিষ্ঠান আমাদের আরও একটি স্লট দেবে’- বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী।
প্রসঙ্গত, মহাকাশের পথে যাত্রার সব প্রস্তুতি শেষ হলেও গত রাতে উৎক্ষেপণ হয়নি বাংলাদেশের প্রথম স্যাটেলাইট বঙ্গবন্ধু-১। সামান্য কারিগরি সমস্যার কথা উল্লেখ করে নির্ধারিত সময়ের এক মিনিট আগে গতকালের জন্য স্থগিত করা হয় উৎক্ষেপণ। তবে আজ শুক্রবার বাংলাদেশ সময় দিবাগত রাত ২টা ১৪ মিনিটে স্যাটেলাইটটি আবার উৎক্ষেপণের সময় নির্ধারণ করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি-বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় ফেসবুকে এ সংক্রান্ত এক পোস্টে লেখেন, ‘উৎক্ষেপণের শেষ মুহূর্তগুলো কম্পিউটার দ্বারা সম্পূর্ণ স্বয়ংক্রিয়ভাবে নিয়ন্ত্রিত হয়। হিসেবে যদি একটুও এদিক সেদিক পাওয়া যায়, তাহলে কম্পিউটার উৎক্ষেপণ থেকে বিরত থাকে। আজ যেমন নির্ধারিত সময়ের ঠিক ৪২ সেকেন্ড আগে নিয়ন্ত্রণকারী কম্পিউটার উৎক্ষেপণের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসে। স্পেসএক্স সবকিছু পরীক্ষা নিরীক্ষা করে আগামীকাল একই সময়ে আবারও আমাদের প্রথম কৃত্রিম উপগ্রহ বহনকারী রকেটটি উৎক্ষেপণের চেষ্টা চালাবে। যেহেতু এই ধরণের বিষয়ে কোনো ঝুঁকি নেয়া যায় না, সেহেতু উৎক্ষেপণের মোক্ষম সময়ের জন্য অপেক্ষা করা খুবই সাধারণ বিষয়, চিন্তিত হওয়ার কিছু নেই।’
এমএআর/পিআর