ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

বাড্ডায় ক্যাবল ব্যবসায়ীকে গুলি করে হত্যা

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ১২:১১ এএম, ১০ মে ২০১৮

গত ২২ এপ্রিল আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে বাড্ডার বেরাইদে আওয়ামী লীগ নেতা জাহাঙ্গীর আলমের ভাই কামরুজ্জামান দুখু (৩৫) খুন হওয়ার মাস না পেরুতেই ফের খুন হলেন আরেকজন। বুধবার)রাত সাড়ে ৯টার দিকে রাজধানীর দক্ষিণ বাড্ডা এলাকার আলাতু‌ন্নেসা স্কু‌ল-সংলগ্ন জাগরণী ক্লাবে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে আব্দুর রাজ্জাক ওরফে বাবু (২৭) নামে এক যুবককে। পেশায় তিনি ক্যাবল ব্যবসায়ী।

বাড্ডা থানা পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন, এই মুহূর্তে নিহত বাবুর রাজনৈতিক পরিচয় জানার চেয়ে খুনিদের গ্রেফতার করা জরুরি। ইতোমধ্যে খুনিদের ধরতে পুলিশের পৃথক কয়েকটি টিম অভিযানে নেমেছে।

যোগাযোগ করা হলে বাড্ডা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) নজরুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, বুধবার রাত ৯টা থেকে সাড়ে ৯টার মধ্যে কে বা কারা এসে বাবু নামে ওই যুবককে এলোপাতাড়ি গুলি করে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়দের দেয়া খবরে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়।

নজরুল ইসলাম বলেন, ‘বাড্ডা থানা পুলিশ তো বটেই, গুলশান বিভাগসহ পুলিশের বেশ কয়েকটি টিম জড়িতদের গ্রেফতারে অভিযানে নেমেছে। শিগগিরই তাদের গ্রেফতার করা হবে। নিহতের রাজনৈতিক কিংবা পারিবারিক পরিচয় পরবর্তিতে জানানো হবে বলে জানান তিনি।

নিহত রাজ্জাকের বাবা ফজলুর রহমান। রাজ্জাক মধ্যবাড্ডা শহীদ মিনার এলাকায় পরিবারের সঙ্গে থাকতেন এবং ডিশ ব্যবসা করতেন।

ফজলুর রহমান বলেন, দক্ষিণ বাড্ডার জাগরণী ক্লাবের ভেতর গুলিবিদ্ধ অবস্থায় ছেলে পড়ে আছে এমন খবর পেয়ে ছুটে যাই। ঢামেক হাসপাতালে নেয়ার পর ডাক্তার জানালেন সব আশা শেষ।

b

তবে কে বা কারা তাকে হত্যা করেছে তা জানাতে পারেননি তিনি।

রাত ১০টা ২০ মিনিটে ঢামেকের কর্তব্যরত চিকিৎসক অাব্দুর রাজ্জাককে মৃত ঘোষণা করেন।

ঢামেক ক্যাম্প পুলিশের ইনচার্জ এসআই বাচ্চু মিয়া জানান, কে বা কারা এ ঘটনায় জড়িত তা নিয়ে কাজ করছে থানা পুলিশ। নিহতের গায়ে, মাথা ও অন্যান্য স্থানে অাট থেকে ১০টা গুলির চিহ্ন রয়েছে। নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য জরুরি বিভাগের মর্গে রাখা হয়েছে।

এর আগে, গত ২২ এপ্রিল আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দ্বন্দ্বের ঘটনায় বাড্ডার বেরাইদে আওয়ামী লীগ নেতা জাহাঙ্গীর আলমের ভাই কামরুজ্জামান দুখু (৩৫) খুন হন। স্থানীয়দের মতে, স্থানীয় এমপি এবং ইউপি চেয়ারম্যানের সমর্থকদের মধ্যে দীর্ঘদিনের দ্বন্দ্বের কারণে এই হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে। পরে নিহত কামরুজ্জামানের ভাই জাহাঙ্গীর আলম বাদি হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করেন।

গত ৭ মে ওই মামলার ২১ জনকে জামিন দেন আদালত। আসামিরা স্বেচ্ছায় আত্মসমর্পণ করে জামিন চান। ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতের বিচারক দেলোয়ার হোসেন তাদের জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন।

জেইউ/এসএইচ/বিএ

আরও পড়ুন