উৎক্ষেপণের জন্য প্রস্তুত বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট : তারানা
১০ মে, বৃহস্পতিবার বাংলাদেশের ইতিহাসে এক অবিস্মরণীয় ঘটনা ঘটতে যাচ্ছে। এদিন বাংলাদেশের প্রথম কৃত্রিম উপগ্রহ ‘বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১’ উৎক্ষেপণ করা হবে। এই স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের আগেরদিন বুধবার বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলকে উৎক্ষেপণের প্রস্তুতি সম্পর্কে অবহিত করা হয়েছে।
এ সম্পর্কে তথ্য প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম তার ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে একটি পোস্ট দিয়েছেন। তিনি পোস্টে লিখেছেন
আগামীকাল 'Readiness for Launch' বিষয়ে আমাদের প্রতিনিধি দলকে অবহিত করা হলো:
১। উৎক্ষেপণের জন্য স্যাটেলাইট প্রস্তুত।
২। উৎক্ষেপণের জন্য Launcher প্রস্তুত।
৩। লঞ্চিং প্যাড প্রস্তুত।
৪। লঞ্চার আজ উৎক্ষেপণের জন্য লঞ্চিং প্যাডে নিয়ে লঞ্চিংয়ের জন্য ঊর্ধ্বমুখী করে রাখা থাকবে।
৫। আবহাওয়া ঠিক থাকলে আগামীকাল USA সময় ৪ টা ১২ মিনিটে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করা হবে।
তারানা হালিমের নেতৃত্বে ২২ সদস্যের প্রতিনিধি দল যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় রয়েছেন।
এর আগে ১০ মে উৎক্ষেপণের জন্য চূড়ান্ত দিনক্ষণ ঘোষণা করে স্পেসএক্স। সংস্থাটির এক টুইট বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়। ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যের কেপ ক্যানাভেরাল থেকে প্যাড ৩৯-এ থেকে ‘ফ্যালকন-৯’ রকেটে করে স্যাটেলাইটটি উৎক্ষেপণ করা হবে। বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা বিটিআরসি স্পেসএক্স-এর বরাত দিয়ে দেশের প্রথম কৃত্রিম উপগ্রহ উৎক্ষেপণের চূড়ান্ত দিনক্ষণ ঘোষণা করে। মঙ্গলবার বিকেলে স্যাটেলাইট বঙ্গবন্ধু-১ উৎক্ষেপণের চূড়ান্ত সময় হালনাগাদ করা হয়।
এই প্রকল্পটি বাস্তবায়নে মোট খরচ হচ্ছে ২ হাজার ৯০২ কোটি টাকা। এর মধ্যে সরকারি তহবিল থেকে দেয়া হচ্ছে ১ হাজার ৫৪৪ কোটি টাকা। আর ঋণ হিসেবে এইচএসবিসি ব্যাংক বাকি ১ হাজার ৩৫৮ কোটি টাকা দিচ্ছে।
বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের মোট ৪০টি ট্রান্সপন্ডার থাকবে। এর মধ্যে ২০টি ট্রান্সপন্ডার বাংলাদেশের ব্যবহারের জন্য রাখা হবে। বাকি ২০টি ট্রান্সপন্ডার বিদেশি কোনো প্রতিষ্ঠানের কাছে বিক্রির জন্য রাখা হবে।
গাজীপুরের গ্রাউন্ড স্টেশন থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ফ্লোরিডায় উৎক্ষেপণ কার্যক্রমের সঙ্গে সরাসরি সংযুক্ত হবেন। আর ক্যাপ ক্যানাভেরালে থাকবেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল।
এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় ৭ মে সকাল ৮টায় (বাংলাদেশ সময় ৮ মে) মহাকাশে যাত্রা করার কথা ছিল স্যাটেলাইটটির। তবে কারিগরি ত্রুটি ও আবহাওয়া প্রতিকূলে থাকায় নির্ধারিত দিনে মহাকাশে যাত্রা করতে পারেনি স্যাটেলাইটটি।
৪ মে স্যাটেলাইটটির পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ সফল হওয়ার কথা জানায় যুক্তরাষ্ট্রের বেসরকারি মহাকাশ গবেষণা ও প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান স্পেসএক্স। অরল্যান্ডোর কেনেডি স্পেস সেন্টার থেকে স্যাটেলাইটটির পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ করা হয়।
জেডএ/বিএ