পদ্মা সেতুতে একই সঙ্গে চলবে রেল ও যানবাহন
রেলপথমন্ত্রী মো. মুজিবুল হক বলেছেন, ‘পদ্মা সেতুর মতো এর রেলসংযোগ প্রকল্পও এখন বাস্তব। স্বপ্নের পদ্মা সেতুতে একই সঙ্গে রেল ও যানবাহন চলাচল করবে, এটাই এখন বাস্তবতা।’
রোববার রেলভবনের সম্মেলন কক্ষ যমুনায় পদ্মা সেতুর রেলসংযোগ প্রকল্পের সার্বিক বিষয় নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন মন্ত্রী। এ সময় উপস্থিত ছিলেন রেলপথ সচিব মো. মোফাজ্জল হোসেন, অতিরিক্ত সচিব (প্রকল্প পরিচালক) গোলাম ফখরুদ্দিন আহমেদ চৌধুরী, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. জাহিদুল হক প্রমুখ।
সংবাদ সম্মেলনে রেলমন্ত্রী বলেন, ‘পদ্মা সেতুতে একই সঙ্গে রেল ও যানবাহন চলবে। আমরা সেভাবেই পরিকল্পনা নিয়েছি। প্রকল্পের সারসংক্ষেপ প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠানো হবে। তিনি যেদিন সময় দেবেন ওইদিনই ভিত্তিপ্রস্তর উদ্বোধন করা হবে। এরপরই মূল কাজ শুরু হবে।’
তিনি বলেন, ‘এ প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য ২০১৬ সালের ৮ আগস্ট ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান ‘চায়না রেলওয়ে গ্রুপ লিমিটেড'র সঙ্গে ২৭ হাজার ৬৫২ কোটি ৫৭ লাখ টাকার কমার্শিয়াল চুক্তিপত্র স্বাক্ষরিত হয়। ইতোমধ্যে পদ্মা সেতুর রেলসংযোগ প্রকল্প বাস্তবায়নে চীনের এক্সিম ব্যাংকের সঙ্গে ২৬৬ কোটি ৭৯ লাখ ডলারের ঋণচুক্তিতে স্বাক্ষর করেছে বাংলাদেশ। সুতরাং এ প্রকল্প এখন বাস্তবায়নের অপেক্ষায়।’
মন্ত্রী বলেন, ‘বিআরটিসি ও বুয়েটের সহযোগিতায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ২০১৭ সালের ৫ জানুয়ারি হতে এ প্রকল্পে পরামর্শক সেবা প্রদান করছে। ইতোমধ্যে ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ, শরিয়তপুর, মাদারীপুর ও ফরিদপুর জেলার ৫৮২ একর ভূমি অধিগ্রহণ সমাপ্ত হয়েছে। ফরিদপুর, নড়াইল, গোপালগঞ্জ ও যশোর জেলায় অবশিষ্ট এক হাজার ২০৩ একর ভূমি অধিগ্রহণ কার্যক্রম চলমান রয়েছে। এখন পর্যন্ত ২৭১ জন ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিকে রি-সেটেলমেন্ট অনুদান প্রদান করা হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘প্রথমে ঢাকা থেকে ফরিদপুরের ভাঙ্গা পর্যন্ত রেল চলবে। ইতোমধ্যে এ অংশে ৮০ ভাগ ভূমির উন্নয়ন হয়ে গেছে।’
এছাড়া ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে বুলেট ট্রেন চালুর বিষয়েও সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানান রেলমন্ত্রী। বলেন, ‘বর্তমান সরকার রেলকে খুবই গুরুত্ব দিচ্ছে। রেলের যাতায়াত আরামদায়ক হওয়ায় যাত্রীর সংখ্যা ক্রমান্বয়ে বাড়ছে। আমরা হয়তো এখনও যাত্রীদের ১০০ ভাগ সেবা দিতে পারছি না। তবে আমরা দিন দিন যাত্রীসেবার মানোন্নয়ন করছি।’
এমইউএইচ/এমএআর/আরআইপি