মিডওয়াইফদের আরও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনের আহ্বান
প্রত্যন্ত অঞ্চলে মা ও শিশুর মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিতে মিডওয়াইফদের আরও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনের আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, মা ও শিশু মৃত্যুহার হ্রাসে ধারাবাহিক সাফল্য অর্জনের ক্ষেত্রে দক্ষ ও প্রশিক্ষিত মিডওয়াইফরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারেন। গর্ভবতী মা ও নবজাতকের উন্নত পরিচর্চার ক্ষেত্রে বর্তমান সরকার সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা ও পরিবেশ নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
আগামীকাল ৫ মে আন্তর্জাতিক মিডওয়াইফ দিবস উপলক্ষে দেয়া আজ এক বাণীতে এ আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।
দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘মা ও শিশু স্বাস্থ্যের মানসম্মত সেবা প্রদানে মিডওয়াইফ এগিয়ে’ অত্যন্ত সময়োপযোগী হয়েছে উল্লেখ করে এ উপলক্ষে তিনি এ পেশার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাইকে শুভেচ্ছা জানান।
তিনি বলেন, তার সরকার জনগণের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিতে ব্যাপক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে। গর্ভবতী মা ও নবজাতকের উন্নত পরিচর্যা ও মৃত্যুহার রোধে বহুমুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। ফলে নির্দিষ্ট সময়ের পূর্বেই শিশু মৃত্যুর হার কমিয়ে সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। এজন্য ২০১০ সালে জাতিসংঘ ‘এমডিজি অ্যাওয়ার্ড’ প্রদান করে।
শেখ হাসিনা বলেন, আমরা দেশে নতুন নতুন হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা, শয্যা সংখ্যা বৃদ্ধি, বিশেষায়িত হাসপাতাল ও নার্সিং ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করেছি। প্রত্যন্ত অঞ্চলে স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের লক্ষ্যে সাড়ে ১৮ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিক ও ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্র চালু করেছি। সরকারি হাসপাতালগুলোতে বিনামূল্যে রোগীদের ৩০ প্রকারের ওষুধ সরবরাহ করা হচ্ছে। এর ফলে মা ও শিশু স্বাস্থ্যসেবায় উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জিত হয়েছে। ফলে আজ আমরা উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা অর্জন করেছি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকারি ৩৮টি নার্সিং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এবং বেসরকারি ১৬টি নার্সিং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ৩ বছর মেয়াদি ডিপ্লোমা ইন মিডওয়াইফারি কোর্স চালু আছে।
এছাড়াও তিন হাজার মিডওয়াইফ পদ সৃষ্টিসহ মিডওয়াইফ শিক্ষাকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে নানা উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, মা ও শিশুর স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে সব জেলা-উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও ইউনিয়ন সাব-সেন্টারে পর্যায়ক্রমে প্রশিক্ষিত মিডওয়াইফ নিয়োগ দেয়া হবে।
এফএইচএস/জেএইচ/পিআর