ড্রাইভিং লাইসেন্স না থাকায় ৭ বাসচালকের কারাদণ্ড
ট্রাফিক আইন অমান্য ও ড্রাইভিং লাইসেন্স না থাকার দায়ে পুলিশের রিক্যুইজিশন (চাহিদাপত্র) করা একটি বাসসহ আটটি বাস ডাম্পিং করা হয়েছে। এ ছাড়া সাতজন বাসচালককে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড ও এক চালককে জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
বৃহস্পতিবার বেলা ১১ টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত রাজধানীর শাহবাগে শিশুপার্ক ও মেরুল বাড্ডা এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। এতে সহযোগিতা করে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)।
শাহবাগ এলাকায় অভিযান পরিচালনা করেন ঢাকা মহানগর পুলিশের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মশিউর রহমান ও মেরুল বাড্ডা এলাকায় অভিযান চালান নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুর রহিম সুজন।
ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা যায়, সাজাপ্রাপ্ত চালকরা হলেন, তানজিল পরিবহনের (ঢাকা মেট্রো ব-১১-২৪৫৩) চালক রফিকুল ইসলাম, বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউ পরিবহনের (ঢাকা মেট্রো জ-১১-২২৪৫) চালক রোকন হোসেন বাবু, ইটিসি পরিবহনের (ঢাকা মেট্রো জ-১১-২২৫২) চালক সুমন মৃধা, ৩ নম্বর পরিবহনের (ঢাকা মেট্রো জ-১১-২৫২০) চালক সোহেল, খাজা বাবা পরিবহনের (ঢাকা মেট্রো জ-১১-২০০৪) চালক সোহেল, পুলিশের রিক্যুইজিশন বাস (ঢাকা মেট্রো জ-০৪-০৭৫০) চালক রুবেলকে এক মাস করে কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
এছাড়া ইউনাইটেড পরিবহনের (ঢাকা মেট্রো ব-১৪-২৯৯৩) চালক দেলোয়ারকে ১৫ দিনের কারাদণ্ড এবং মৈত্রী পরিবহনের একটি বাসচালককে তিন হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
ডিএমপির নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মশিউর রহমান বলেন, ‘অভিযানে আটটি বাস ডাম্পিং ও সাত বাসচালককে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে এক চালককে গাড়ির ফিটনেস ও রোড পারমিট না থাকায় তিন হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।’
‘কারাদণ্ড দেয়া চালকদের কোনো ড্রাইভিং লাইসেন্স ছিল না। যৌথ অভিযানে ৩৬টি মামলায় ট্রাফিক আইন অমান্যে বিভিন্ন গাড়ির বিরুদ্ধে ৩৬টি মামলা ও এক লাখ ২০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। ট্রাফিক আইন অমান্যের বিরুদ্ধে আমাদের ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান নিয়মিত চলবে’ বলে জানান তিনি।
জেইউ/জেডএ/জেআইএম