জলাবদ্ধ রাস্তায় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে পথচারীর করুণ মৃত্যু
‘মেইন সুইচ বন্ধ করেন। এক বেডা মইরা গেছে। আর ওই বেডি রাস্তার ওপর মইরা যাইতাছে। ও আল্লাহরে, মেইন সুইচ বন্ধ করেন।’
সকাল আনুমানিক সাড়ে ৯টা। রাজধানীর পুরান ঢাকার ওয়ারীর বনগ্রামের ১২৮ নম্বর রাস্তায় জমে থাকা পানির ওপর পা দুটি সোজা করে একটি দোকানে হেলান দিয়ে পড়ে অাছেন এক নারী। এক ভদ্রলোক বাঁশ দিয়ে তাকে সরানোর চেষ্টা করেন। আরও দু’একজন লোক পাশে এসে বাঁশ দিয়ে ওই নারীকে সরানো চেষ্টা করছেন। রাস্তার আশপাশের বাড়ি থেকে তখন বিদ্যুতের সুইচ অফ করার জন্য চিৎকার করছিলেন সবাই। যতক্ষণে সুইচ অফ করা হলো ততক্ষণে নিস্তেজ হয়ে পড়েছেন ওই নারী।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এমন একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে। আজ সকালের বৃষ্টিতে বনগ্রামের রাস্তায় জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। এতে এক পথচারীর মৃত্যু হয়। তবে ভাগ্যক্রমে বেঁচে যান ওই নারী।
তবে নারিন্দা ডিপিডিসির কমপ্লেইন সুপারভাইজার মো. আজহার আলী দুইজনের মৃত্যুর খবর জানিয়েছেন। তিনি জানান, বিদ্যুতের তারে নয়, ১২৮ বনগ্রামের রোডের বাড়িটির জেনারেটরের তারে স্পৃষ্ট হয়ে দুজনের মৃত্যু হয়। সকাল সাড়ে ৯টার দিকে তারা অভিযোগ পেয়ে সেখানে গিয়ে জানতে পারেন, দুজনের মরদেহ হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। তবে তাদের পরিচয় জানতে পারেননি তিনি।
ওয়ারী থানার ওসি রফিকুল ইসলাম বলেন, বিদ্যুৎস্পৃষ্টে জেসমিন ও জিন্নাহ নামে দুইজন আহত হয়েছিলেন। তাদের হাসপাতালে নেয়া হয়েছিল। এদের মধ্যে জেসমিনকে তার স্বামী নিয়ে যান। হাসপাতালে মারা যান জিনাহ।
এদিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, নিহত জিন্নাহর গ্রামের বাড়ি নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লাহ উপজেলার নন্দলালপুর গ্রামে। তিনি মৃত শামসুদ্দিন চোকদারের ছেলে।
অাহতাবস্থায় তাকে উদ্ধার করে প্রথমে মিটফোর্ট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে সেখান থেকে ঢামেকে নিয়ে আসা হয়। এখানেই মারা যান তিনি। ঢামেকের পুলিশ ক্যাম্পের উপ-পরিদর্শক (এসআই) বাচ্চু মিয়া এ তথ্য জানিয়েছেন।
এমইউ/এসএইচ/বিএ/আরআইপি