কবরস্থানে নড়ে ওঠা শিশুটি সত্যিই মারা গেছে
রোববার রাতে বলা হয় মায়ের পেটেই সন্তানটি মারা গেছে। সোমবার সকালে সন্তান প্রসবের পরপরই বাচ্চাটিকে একটি বাক্সে রাখা হয়। তারপর কবর দেয়ার জন্য পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
এরপর দাফন করার জন্য সোমবার সকালে শিশুটিকে নিয়ে যাওয়া হয় আজিমপুর কবরস্থানে। সেখানে গোসল করানোর সময় নবজাতকটি মৃদু নড়েচড়ে ওঠে। চোখে ভুল দেখছেন ভেবে যিনি গোসল করাচ্ছিলেন তিনি আবার পানি ঢালেন। এরপরই তিনি দেখেন শ্বাস-প্রশ্বাস ওঠানামা করছে। এরপর তাকে দ্রুত আজিমপুর মাতৃসদন হাসপাতাল ও পরে ঢাকা শিশু হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
সেই শিশু হাসপাতালেই রাত ১টা ৩৩ মিনিটে মারা গেছে শিশুটি। হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. আবদুল আজিজ জাগো নিউজকে শিশুটির মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এরআগে সোমবার সন্ধ্যায় তিনি বলেছিলেন, নবজাতককে বাঁচিয়ে রাখতে সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন চিকিৎসকরা। তবে শিশু প্রিম্যাচিওর হওয়ায় নিজে শ্বাস-প্রশ্বাস নিতে পারছে না। ফলে ভেন্টিলেটর মেশিনের সাহায্যে তার শ্বাস-প্রশ্বাস চলছে। ভর্তির পর শারীরিক অবস্থা আরও খারাপের দিকে যাচ্ছে।
একাধিক চিকিৎসক গতকাল বলেছিলেন, সাধারণত আড়াই কেজি ওজনের নবজাতককে স্বাভাবিক ওজনের শিশু বলে গণ্য করা হয়। দুই কেজির কম হলে প্রিম্যাচিওর শিশু বলা হয়। এই শিশুটির ওজন মাত্র ১ কেজি।
সোমবার ঢাকা শিশু হাসপাতালে সংবাদ সম্মেলনে শিশুটির মামা মো. শরিফুল ইসলাম বলেন, রোববার রাতে নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে আমাদের জানানো হয় শিশুটি নড়াচড়া করছে না। সে পেটে মারা গেছে। সকালে প্রসবের মাধ্যমে তাকে বের করা হবে। বাচ্চাটি ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর ডাক্তাররা বলে সে পেটে মৃত, তারা পরীক্ষা করেছে কি-না জানি না। পরে তাকে একটি বক্সের ভেতরে রাখা হয়। তারপর আজিমপুরে নিয়ে যাওয়ার পর বাকি ঘটনা ঘটে।
কবর দিতে যাওয়ার সময় শিশুটির নাম লেখা হয়েছিল মিম। মিম ছিল তার বাবা-মায়ের প্রথম সন্তান।
এমইউ/এনএফ/এমএস