বিজিবি-বিএসএফ সম্মেলন : গুরুত্ব পাবে সীমান্তে হত্যা-অপহরণ
আজ (মঙ্গলবার) থেকে ঢাকায় শুরু হচ্ছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও ভারতের বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্সের (বিএসএফ) মহাপরিচালক পর্যায়ে সীমান্ত সম্মেলন।
সকাল ১০টায় পিলখানায় বিজিবি সদর দফতরের সম্মেলন কক্ষে দুপক্ষের বৈঠকের মাধ্যমে সম্মেলন শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে বিজিবি। এবারের সম্মেলনে সীমান্ত হত্যা, সীমান্তে বাংলাদেশি নাগরিক অপহরণ ও আটকসহ বেশ কয়েকটি ইস্যু গুরুত্ব পাবে।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, এবারের সম্মেলনে সীমান্ত এলাকায় নিরস্ত্র বাংলাদেশি নাগরিকদের গুলি/হত্যা/আহত করা, বাংলাদেশি নাগরিকদের অপহরণ/আটক, অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রম, অস্ত্র, গোলা-বারুদ ও বিস্ফোরকদ্রব্য পাচার, সীমান্তের অপর প্রান্ত থেকে বাংলাদেশে ফেনসিডিল, মদ, গাঁজা, হেরোইন এবং ইয়াবাসহ মাদক ও নেশাজাতীয় দ্রব্যের চোরাচালান, আন্তর্জাতিক সীমান্তের ১৫০ গজের মধ্যে উন্নয়নমূলক নির্মাণ কাজ, আখাউড়া আইসিপির ভারতীয় অংশে ইটিপি (ইফলুয়েন্ট ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট) স্থাপন এবং উভয় বাহিনীর মধ্যে পারস্পরিক আস্থা বৃদ্ধির বিষয়ে আলোচনা হবে। বৈঠক শেষে আগামী বৃহস্পতিবার (২৬ এপ্রিল) সম্মেলনের যৌথ আলোচনার দলিল স্বাক্ষরিত হবে।
এর আগে সম্মেলনে যোগ দিতে সোমবার বিএসএফ মহাপরিচালক শ্রী কে কে শর্মার নেতৃত্বে ১০ সদস্যের ভারতীয় প্রতিনিধিদল ঢাকা আসে। এছাড়াও সম্মেলনে বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. সাফিনুল ইসলামের নেতৃত্বে ১৫ সদস্যের বাংলাদেশ প্রতিনিধিদল অংশগ্রহণ করবে। বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলে বিজিবির অতিরিক্ত মহাপরিচালকবৃন্দ, বিজিবি সদর দফতরের সংশ্লিষ্ট স্টাফ অফিসার ছাড়াও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, যৌথ নদী কমিশন, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর, সার্ভে অব বাংলাদেশ এবং ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদফতরের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা রয়েছেন।
আগামী শুক্রবার (২৭ এপ্রিল) বিকেলে পঞ্চগড়ের বাংলাবান্ধা আইসিপিতে বিজিবি মহাপরিচালক ও বিএসএফ মহাপরিচালক যৌথভাবে উভয় বাহিনীর জয়েন্ট রিট্রিট সেরিমনি উদ্বোধন করবেন এবং একই দিনে ভারতীয় প্রতিনিধিদল বাংলাদেশ ত্যাগ করবেন।
এআর/বিএ