মায়ের পেটেই সন্তানকে মৃত ধরে নেয় ঢামেক চিকিৎসকরা
‘রোববার রাতেই আমাদের বলা হয় সন্তানটি মায়ের পেটেই মারা গেছে। সকালে সন্তান প্রসবের পরপরই বাচ্চাটিকে একটি বাক্সে রাখা হয়। তারপর কবর দেয়ার জন্য আমাদের হস্তান্তর করা হয়’। সোমবার ঢাকা শিশু হাসপাতালে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান, নবজাতক মিমের মামা মো. শরিফুল ইসলাম।
তিনি বলেন, প্রথম যখন আমার বোনকে ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি করি (২১ এপ্রিল রাতে) তখন ডাক্তাররা তাকে জিজ্ঞেস করেন, ‘গাছ নেবেন না ফল নেবেন।’ তখন বোনকে বাঁচাতে চেষ্টা করি। আমি বলি আমাদের গাছ চাই।
রোববার রাতে নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে আমাদের জানানো হয় শিশুটি নড়াচড়া করছে না। সে পেটে মারা গেছে। সকালে প্রসবের মাধ্যমে তাকে বের করা হবে। বাচ্চাটি ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর ডাক্তাররা বলে সে পেটে মৃত, তারা পরীক্ষা করেছে কি-না জানি না। পরে তাকে একটি বক্সের ভেতরে রাখা হয়। তারপর আজিমপুরে নিয়ে যাওয়ার পর বাকি ঘটনা ঘটে।
শিশু মিমের কোনো ডেথ সার্টিফিকেট দেয়নি ঢামেক কর্তৃপক্ষ। বরং তাদের পক্ষ থেকে গতকাল রাতের একটি টেস্টের রিপোর্ট দেয়া হয়, যেখানে শিশুটি পেটে নড়াচড়া করছে না বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
শরিফুল আরও বলেন, কবর দেয়ার সময় একটা নাম দিতে হয় তাই আমি নাম দিয়েছিলাম মিম। এটি তার বাবা-মায়ের প্রথম সন্তান। দুইজনই চাকরিজীবী।
উল্লেখ্য, আজ সকালে আজিমপুর কবরস্থানে কবর দেয়ার জন্য গোসল করাতে নিয়ে গেলে নড়ে ওঠে এ নবজাতক। পরে প্রথমে তাকে আজিমপুর মেটারনিটি হসপিটালে এবং সেখান থেকে ঢাকা শিশু হাসপাতালে নেয়া হয়।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের ডেথ সার্টিফিকেটে নবজাতক মৃত অবস্থায় জন্মগ্রহণ করেছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। নবজাতকের বাবার নাম-মিনহাজ।
এআর/এমআরএম/আরআইপি