চালককে দিন-রাত গাড়ি চালাতে দেয়া হচ্ছে : দেখার কেউ নাই
ঢাকা ও চট্টগ্রাম রোডে দিনের বেলায় ট্টিপ নিয়ে যাওয়ার পরেও একই চালককে আবারও রাতের ফিরতি ট্টিপে গাড়ি চালাতে দেয়া হচ্ছে। এসব দেখার কী কেউ নেই? এ মন্তব্য করেছেন মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান মো. কাজী রিয়াজুল হক। তিনি বলেন, এসব ঘটনা তদন্ত করার জন্য সরকারি কর্মচারীরা রয়েছে। সরকারি কর্মচারীরা কোথায়? তারা কি করে? তারা কি বিষয়গুলো দেখে না?
শনিবার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে 'সড়ক নৈরাজ্য ও অব্যবস্থাপনা উত্তরণের উপায়' শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনায় তিনি এই মন্তব্য করেন। গাড়ির বেপরোয়া গতির বিষয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশ আইটিতে অনেক উন্নত হয়েছে। যেসব গাড়ি বেপরোয়া গতিতে চলে আইটি সফটওয়ারের মাধ্যমে এসব বেপরোয়া গাড়ি চিহ্নিত করা দরকার। গাড়ির গতি নিয়ে আলাদা কাজ করা দরকার। পৃথিবীর অনেক রাষ্ট্রে এই সিস্টেম চালু রয়েছে। ট্রাফিক পুলিশ একটি সফটওয়ারের মাধ্যমে দ্রুত গতিসম্পন্ন গাড়ি চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়। আমরাও এমন ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারি। সফটওয়ার তৈরি করতে প্রয়োজনে মানবাধিকার কমিশন থেকেও সহযোগিতা করা হবে বলে জানান তিনি।
মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান আরও বলেন, সফটওয়ার করার পরে হয়তো আমরা দুর্ঘটনা রোধ করতে পারব না, তবে দুর্ঘটনা অনেকাংশে কমিয়ে আনা সম্ভব। তিনি বলেন, একটি দুর্ঘটনার কারণে কোনো কোনো পরিবার অন্ধ হয়ে যাচ্ছে। দেশের রাস্তাজুড়ে নৈরাজ্য চলছে। আবার দাবি করা হচ্ছে শাস্তি দেয়া হয়, এত শাস্তি হয় সেটা কোথায় হয়? তারপরেও আমার মনে হচ্ছে কোথাও একটু গ্যাপ সৃষ্টি হচ্ছে। সরকার চেষ্টা করছে, চেষ্টার পরেও কিছু হচ্ছে না। আমাদের তো (রাইট টু লাইফ) একটা মানুষের বেঁচে থাকার অধিকার আছে। বিনা অপরাধে বিনা কারণে সড়ক দুর্ঘটনায় মানুষকে মরতে হচ্ছে। এটা অত্যন্ত দুঃখজনক। কিছু কিছু প্রভাবশালীদের কারণে শৃঙ্খলা থাকছে না।
বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তৃতা করেন ডিটিসিরি সাবেক নির্বাহী পরিচালক গণপরিবহন বিশেষজ্ঞ ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ, নগর পরিকল্পনাবিদ স্থপতি মোবাশ্বের হোসেন, নগর পরিকল্পনবিদ ইকবাল হাাবিব, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সকি, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার জ্যেতির্ময় বড়ূয়া, বুয়েটের অধ্যাপক ড. মাহবুবুল আলম তালুকদার প্রমুখ।
এফএইচ/ওআর/জেআইএম