সড়ক ব্যবস্থা নয়, রাজীবের মৃত্যুতে পরিবহন অব্যবস্থাপনা দায়ী
দুই বাসের রেষারেষিতে প্রথমে হাত ও পরে জীবন হারানো কলেজছাত্র রাজীব হোসেনের মৃত্যুর জন্য পরিবহনের অব্যবস্থাপনাকে দায়ী করেছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। বুধবার রাজধানীর হাতিরঝিল এলাকায় বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিদর্শনকালে তিনি সাংবাদিকদের একথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, রাজীবের মৃত্যুর জন্য সড়ক ব্যবস্থাপনা দায়ী নয় বরং পরিবহন অব্যবস্থাপনার জন্য দুর্ঘটনাটি হয়েছে। চালকদের অসচেতনতা ও রেষারেষির কারণেই এটি হয়েছে।
সম্প্রতি একটি পত্রিকায় রাজীবের মৃত্যুর কারণ হিসেবে সড়কের অব্যবস্থাপনাকে দায়ী করেছে। এ বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘সড়কের খারাপ-ভালো তো এর সঙ্গে জড়িত না। যারা চালাচ্ছে এবং গাড়িতে যারা আরোহী, তারা এর সঙ্গে দায়ী। হতে পারে ওই ছেলেটাও ভুল করতে পারে। তার দাঁড়ানোটা সঠিক নাও হতে পারে। এ ব্যাপারে চালকদের সচেতন হতে হবে।’
এর আগে গত ৩ এপ্রিল বিআরটিসির একটি দ্বিতল বাসের পেছনের গেটে দাঁড়িয়ে গন্তব্যে যাচ্ছিলেন তিতুমীর কলেজের ওই ছাত্র। তার হাতটি সামান্য বাইরে বেরিয়ে ছিল। রাজধানীর কারওয়ান বাজারে হঠাৎই পেছন থেকে স্বজন পরিবহনের একটি বাস বিআরটিসি বাসটিকে ওভারটেক করার জন্য বাম দিকে গা ঘেঁষে পড়ে। এতে দুই বাসের চাপে রাজীবের হাত শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। দু’তিনজন পথচারী দ্রুত তাকে পান্থপথের শমরিতা হাসপাতালে নিয়ে যান। কিন্তু চিকিৎসকেরা চেষ্টা করেও বিচ্ছিন্ন হাতটি রাজীবের শরীরে আর জুড়ে দিতে পারেননি।
শমরিতা হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসার পর রাজীবকে ঢাকা মেডিকেল কলেজে স্থানান্তর করা হয়। কিন্তু সাময়িক উন্নতির পর গত সোমবার থেকে তার মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ শুরু হয়। রাজীবের মস্তিষ্ক অসাড় হয়ে যায়। সেই থেকে আর জ্ঞান ফেরেনি তার। ১৩ দিন পরে সোমবার রাত ১২টা ৪০ মিনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে তিনি মারা যান।
এআর/এসএইচএস/জেআইএম
আরও পড়ুন
সর্বশেষ - জাতীয়
- ১ নিউ এইজ সম্পাদককে হয়রানি, ঘটনা তদন্তের নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার
- ২ লেখাপড়ায় মনোযোগ দেন, প্রয়োজনে আবারও রাস্তায় নামবো
- ৩ ৩৭ বছর পর চট্টগ্রাম কমার্স কলেজে প্রকাশ্যে শিবির
- ৪ ৪৭তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি এ সপ্তাহে, ক্যাডার-ননক্যাডারে পদ ৩৭০১
- ৫ সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছে নিম্ন আয়ের মানুষ, ওষুধে ব্যয় ২০ শতাংশ