ট্রাফিক পুলিশদের ‘সর্বোচ্চ ভালো ব্যবহার’ করার নির্দেশ
ট্রাফিক সার্জেন্টদের রাগান্বিত না হয়ে ধৈর্য ধরে পেশাদারিত্বের সঙ্গে যানবাহনের প্রসিকিউশন (মামলা) দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া। এসময় ট্রাফিক পুলিশকে জনসাধারণের সঙ্গে সর্বোচ্চ ভালো ব্যবহারের নির্দেশনা দেন তিনি।
মঙ্গলবার ডিএমপি হেডকোয়ার্টার্সে ডিএমপির চারটি ট্রাফিক বিভাগের সঙ্গে আয়োজিত বিশেষ ট্রাফিক সভার সমাপনী দিনে তিনি একথা বলেন।
এসময় ট্রাফিক কর্মকর্তাদের উদ্দেশে ডিএমপি কমিশনার বলেন, রাস্তার শৃঙ্খলা ধরে রাখতে ট্রাফিক আইনের যথাযথ প্রয়োগ করতে হবে। আইনের ঊর্ধ্বে কেউ নয়। এই কথাটি মাথায় রেখে জনসাধারণের প্রতি সর্বোচ্চ ভালো ব্যবহার দিয়ে ট্রাফিক আইন প্রয়োগ করতে সব ট্রাফিক বিভাগকে নির্দেশ দেন। ট্রাফিক আইন মেনে গাড়ি চালানো জন্য ড্রাইভার, মালিক ও শ্রমিকদের সঙ্গে ফলপ্রসূ আলোচনা করতে হবে। বেপরোয়া গতিতে গাড়ি না চালাতে সবাইকে উদ্বুদ্ধ করতে হবে।’
এছাড়াও কমিশনার ট্রাফিকের ইন্টারসেকশন ম্যানেজমেন্ট, মানুষের সঙ্গে পেশাদারিত্বপূর্ণ আচরণ, ভিডিও মামলা বেশি করা, গাড়ির চালককে মামলা সম্পর্কে বিস্তারিত বলা, প্রসিকিউশনের জরিমানা কোনো অবস্থাতে নগদ গ্রহণ না করা, উল্টো পথে গাড়ি চালালে ট্রাফিক আইনের আওতায় আনা, হুটার বা বিকন লাইন ও হাইড্রোলিক হর্ণ ব্যবহার যাতে করতে না পারে সেদিকে লক্ষ্য রাখা, চেকপোস্টের মাধ্যমে গাড়ির কাগজপত্র যাচাইয়ের নির্দেশ দেন।
বিশেষ ট্রাফিক সভা চলাকালীন সময়ে ট্রাফিকের চারটি বিভাগ থেকে ঢাকা মহানগরীর যানজট নিরসনের জন্য স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা উত্থাপন করা হয়। সভায় ডিএমপির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এআর/জেএইচ/এমএস