‘শ্রমিক সংগঠনগুলো এক হলে দাবি আদায় সম্ভব’
শ্রমিক সংগঠনগুলো একত্রিত না হলে কোনো দাবিই পূরণ হবে না বলে মন্তব্য করেছেন সংগঠনের নেতারা। তারা বলেন, এমপ্লায়ারস অ্যাসোসিয়েশনের মতো শ্রমিক সংগঠন, ফেডারেশন এবং ইউনিয়নগুলো একত্রিত হয়ে একটি সংগঠন হয়ে কাজ করলে কর্মক্ষেত্রে নারী শ্রমিকের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব।
সোমবার ‘কর্মজীবী নারীর উদ্যোগে ও স্ট্র্যাটেজিক পার্টনার হিসেবে নারী পক্ষের অংশগ্রহণে ‘পোশাক শিল্প কারখানায় চাই নারীর জন্য নিরাপদ কর্মপরিবেশ’ এ স্লোগানে জাতীয় প্রেস ক্লাবে মতো বিনিময় সভায় ট্রেড ইউনিয়ন নেতাদের সঙ্গে সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদফতর-এর পক্ষ থেকে প্রতিনিধি নুসরাত জাহান, এসিস্ট্যান্ট ইন্সপেক্টর জেনারেল। কর্মজীবী নারীর সভাপতি ড. প্রতিমাপাল-মজুমদারের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন জাতীয় গার্মেন্ট শ্রমিক জোট বাংলাদেশ-এর সভাপতি নঈমূল আহসান জুয়েল, সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্ট-এর সাধারণ সম্পাদক রাজেকুজ্জামান রতন, গার্মেন্ট শ্রমিক কর্মচারী লীগ-এর সভাপতি লীমা ফেরদৌস। সভাটি সঞ্চালনা করেন কর্মজীবী নারীর নির্বাহী পরিচালক রোকেয়া রফিক।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে নুসরাত জাহান বলেন, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদফতর তিনটি ক্লাস্টার করছে ১. সাধারণ বিভাগ ২. সেফটি বিভাগ এবং ৩. স্বাস্থ্য বিভাগ। এসব বিভাগে কাজ করতে গিয়ে পোশাক শিল্প কারখানায় নারী শ্রমিকের সুরক্ষায় তাদের কাজের পরিব্যাপ্তি আরও বাড়িয়েছেন।
নারী শ্রমিকের দক্ষতা, উদ্ভাবন এবং উৎপাদনশীলতার ওপর জোর দিয়ে কর্মক্ষেত্রে নারী শ্রমিকের অনিরাপদ অবস্থা বিশ্লেষণ করেন কর্মজীবী নারীর সভাপতি ড. প্রতিমাপাল-মজুমদার।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে নঈমূল আহসান জুয়েল বলেন, এমপ্লায়ারস অ্যাসোসিয়েশনের মতো শ্রমিক সংগঠন, ফেডারেশন এবং ইউনিয়নগুলো একত্রিত হয়ে একটি সংগঠন হয়ে কাজ করলে কর্মক্ষেত্রে নারী শ্রমিকের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব।
রাজেকুজ্জামান রতন বলেন, দেশে প্রবৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে নারীর প্রতি সহিংসতাও বাড়ছে তাই এসডিজি লক্ষ্য অর্জনও কঠিন হয়ে যাবে। লীমা ফেরদৌস বলেন নারীর অধিকার, নিরাপত্তা ও সুরক্ষার জন্য সর্বপ্রথম নারীকেই সচেতন হতে হবে।
সভার সমাপনী বক্তব্যে সিডও সনদ সুপারিশ নং ৩১ (গ) বাস্তবায়নের জন্য নীতি নির্ধারক এবং সরকারের প্রতি আহ্বান জানান সভার সভাপতি ড. প্রতিমাপাল-মজুমদার। এছাড়া এ আয়োজনে জাতীয় পর্যায়ের শ্রমিক নেতারা এবং গার্মেন্ট শিল্পের শ্রমিকরা উপস্থিত ছিলেন।
এমইউএইচ/এমআরএম/এমএস