পশু মোটাতাজা নিয়ে রুল জারি
পশু মোটাতাজাকরণে অতিরিক্ত হরমোন বা কেমিক্যাল ও মানব স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর পদার্থ ব্যবহার বন্ধে কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণে সংশ্লিষ্টদের নিষ্ক্রিয়তাকে কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। সোমবার বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
একই সঙ্গে জনস্বাস্থ্য রক্ষায় পশু মোটাতাজাকরণে স্টেরয়েড জাতীয় ওষুধ ও নিষিদ্ধ কেমিক্যাল ব্যবহার বন্ধে কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণে কেন গাইড লাইন দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়েও রুল জারি করেছেন আদালত।
কোরবানির পশুর হাটে বিক্রির জন্য যে পশু আনা হয় সেই পশু মোটাতাজাকরণে হরমোন বা কেমিক্যাল ও ক্ষতিকর পদার্থ ব্যবহার বন্ধে সাত সদস্যবিশিষ্ট কমিটি গঠনেরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কমিটিতে একজন করে ডাক্তার, পুষ্টি বিজ্ঞানী, অধ্যাপক, পশু ডাক্তার ও মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিরা থাকবেন। স্বরাষ্ট্র, বাণিজ্য, খাদ্য, স্বাস্থ্যসচিবদের আগামী ৮ সপ্তাহের মধ্যে এ কমিটি গঠন করার অগ্রগতি প্রতিবেদন দাখিল করতেও বলা হয়েছে।
উল্লেখ্য, কোরবানি উপলক্ষে অসাধু ব্যবসায়ীরা অধিক মুনাফা লাভের আশায় পশু মোটাতাজাকরণে ডেস্কোমিটাসন, করটিসল, বিটামিটাসন, ইউরিয়া, ওরাডেস্ক, ডেকাসন জাতীয় ওষুধ ও কেমিক্যাল ব্যবহার করছে বলে মিডিয়ায় সংবাদ প্রকাশ হয়। সেই সংবাদের ভিত্তিতেই একটি মানবাধিকার সংগঠনের পক্ষে রিট করেন অ্যাডভোকেট মনজিল মোরশেদ। এ রিটের শুনানি শেষে আদালত সাত সদস্যবিশিষ্ট কমিটি গঠনের নির্দেশ দেন এবং রুল জারি করেন।