মানুষ ভজলে সোনার মানুষ হবি
কোটা সংস্কার আন্দোলনের উত্তাপ থাকায় গত চারদিন চারুকলায় কাজে কিছুটা বেঘাত ঘটে। তবুও যেন পিছিয়ে নেই, শেষ মুহূর্তে চলছে মঙ্গল শোভাযাত্রার প্রস্তুতির কাজ। নির্ধারিত সময়েই শেষ হবে বাঙালির অসাম্প্রদায়িক চেতনার বড় উৎসব মঙ্গল শোভাযাত্রার প্রস্তুতি- এমনটি জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
রাত পোহালেই শুরু হচ্ছে বাংলা নতুন বর্ষ ১৪২৫। বরাবরের মতো এদিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা থেকে বের হবে মঙ্গল শোভাযাত্রা। যেখানে শামিল হবেন ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষ সব শ্রেণির মানুষ।
অসাম্প্রাদায়িক চেতনায় বিশ্বাসী বাঙালি জাতি দাঁড়াবে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে। ধর্ম-বর্ণের ভেদাভেদ ভুলে সব কিছুর ঊর্ধ্বে মেতে উঠবে বৈশাখী উৎসবে। এটাই তো বাঙালির অহংকার। এবারের মঙ্গল শোভাযাত্রার প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে ‘মানুষ ভজলে সোনার মানুষ হবি’। শোভাযাত্রার মূল প্রতীক সূর্য। এ বছর শোভাযাত্রার প্রস্তুতির নেতৃত্বে রয়েছে চারুকলার ২০তম ব্যাচ।
গতকাল দুপুরে চারুকলার ভেতরে ঘুরে দেখা যায়, শিক্ষার্থীরা নানা চিত্রকর্ম, মোটিভ, সরাই, সাম্পান, মুখোশসহ বিভিন্ন ধরনের আল্পনা ও নানা রঙের ব্যানার, প্ল্যাকার্ড বানাতে ব্যস্ত সময় পার করছেন। এছাড়া রয়েছে মহিষ, সূর্য, হাতি, পাখি, সাইকেল, জেলে, জাল, বক, মাছ, টেপা পুতুলসহ বেশ কয়েকটি মোটিভ। এ কাজে নেতৃত্ব দেয়া পাপন কর্মকার বলেন, প্রস্তুতি প্রায় শেষ দিকে। যথা সময়েই কাজ শেষ হবে। তবে গত কয়েকদিন আন্দোলনের কারণে কাজে কিছুটা ব্যাঘাত হয়। বেচাকেনাও কম হয়েছে।
তিনি বলেন, মূলত নিজেদের তৈরি চিত্রকর্ম বিক্রি করেই মঙ্গল শোভাযাত্রার খরচ বহন করা হয়। কিন্তু এবার আমাদের বেচাকেনা কম। অর্ডার তেমন নেই।
চারুকলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক নিসার হোসেন বলেন, আমাদের প্রস্তুতি প্রায় শেষের দিকে। আশা করছি এবারও সবার স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে মঙ্গল শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হবে। সব ভেদাভেদ ভুলে অশুভকে দূর করে আলোকিত বাংলাদেশ গড়তে সবাই মঙ্গল শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণ করবে।
তিনি বলেন, যত দিন যাচ্ছে, আয়োজনটি তত বড় হচ্ছে। এবারের শোভাযাত্রার মূল প্রতীক হিসেবে বেছে নেয়া হয়েছে সূর্য।
এমএইচ/ওআর/পিআর