ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

অনিশ্চয়তা কাটিয়ে জমে উঠেছে বৈশাখ বরণের প্রস্তুতি

বিশেষ সংবাদদাতা | প্রকাশিত: ০১:৫৫ পিএম, ১৩ এপ্রিল ২০১৮

সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের আন্দোলনে বাংলা নববর্ষ-১৪২৫ উদযাপনে অনেকটা অনিশ্চিত হয়ে পড়লেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘোষণায় সেই অনিশ্চয়তা কেটে গেছে। জমে উঠেছে শপিং মল থেকে শুরু করে ফুটপাতে বৈশাখী কেনাকাটা। বাঙালির প্রাণের উৎসবকে বরণ করে নিতে জোর প্রস্তুতি চলছে রাজধানী জুড়ে।

রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায় সর্বত্র বইছে উৎসবের আমেজ। শিশু একাডেমির সামনে বিভিন্ন ধরনের মাটির তৈজসপত্র, শীতল পাখা, তালপাখা, বাঁশি, একতারা, ঢোল ও তবলাসহ বৈশাখী পণ্য বিক্রির জন্য সাজিয়ে রাখা হয়েছে। বিক্রিও বেশ ভালো। বৈশাখের প্রথম দিন সকালে বিক্রির জন্য খই, মুড়ি, মুরকি, বাতাসা ও নিমকির পসরা সাজিয়ে রেখেছেন দোকানিরা।

media

বিভিন্ন বিপণী কেন্দ্রেও শেষ মুহূর্তে বৈশাখী পোশাকে দেয়া হচ্ছে নানা অফার। রাজধানীর এলিফ্যান্ট রোডে প্রিয়াঙ্গন শপিং সেন্টারে বেসরকারি চাকরিজীবী ইমদাদ হোসেন স্ত্রী ও ছেলেকে নিয়ে বৈশাখের পাঞ্জাবি কিনতে এসেছেন।

তিনি বলেন, আগের দিনের বৈশাখে পোশাক কেনার প্রচলন ছিল না। গ্রামে সকালে ওঠে শুটকি ভর্তা দিয়ে পেট ভরে পান্তা ভাত খাওয়া এবং মেলায় মিঠামণ্ডা খেয়ে বৈশাখের প্রথম দিন কাটতো। এখন নতুন পোশাক কেনাও বৈশাখের অনুষঙ্গ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

media

অদূরে আলপনা প্লাজা মার্কেটে কথা হয় লালবাগের বাসিন্দা ইমতিয়াজ হোসেনের সঙ্গে। তিনি ৯ বছরের মেয়ে রাজধানীর ভিকারুননিসা নূন স্কুলের দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রী অর্পিতাকে সঙ্গে নিয়ে বৈশাখের লাল-সাদা পোশাক কিনতে এসেছেন। তিনি জানান, বৈশাখের দ্বিতীয় দিন (১৫ এপ্রিল) স্কুলে বৈশাখের অনুষ্ঠান রয়েছে। স্কুলের শিক্ষকরা বৈশাখের পোশাক পড়ে অনুষ্ঠানে যেতে বলেছেন। তাই মেয়ের পোশাক কিনতে এসেছি।

পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন দেয়ালজুড়ে শোভা পাচ্ছে রঙ তুলিতে আঁকা হাতি, ঘোড়া, বাঘ, বিড়াল, পাখি, বক, ময়ুর, কলসিসহ গ্রামীণ বধূ, হাতপাখা, নৌকা ও ফুল। চারুকলার শিক্ষার্থীদের আঁকা এসব অঙ্কনে ফুটে উঠেছে গ্রামীণ লোকজ সংস্কৃতি। বাংলা নববর্ষ বরণে শুধু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে নয়, সারা বাংলাই সাজছে নতুন সাজে।

media

এদিকে রাজধানীর রমনা ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যান এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে পহেলা বৈশাখে জনসমাবেশকে কেন্দ্র করে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। বিভিন্ন স্পটে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন ও র্যাব-পুলিশের অস্থায়ী ক্যাম্প বসানো হয়েছে।

এমইউ/আরএস/এমএস

আরও পড়ুন