/- জাতীয়
বর্ষবরণ : আকাশে উড়বে হেলিকপ্টার, মাটিতে মোবাইল কোর্ট
পহেলা বৈশাখ উদযাপন নির্বিঘ্ন করতে ও উৎসবের মূল কেন্দ্র রমনা পার্ক ও মঙ্গল শোভাযাত্রার উপর হেলিকপ্টার থেকে দৃষ্টি রাখবে র্যাব। পাশাপাশি বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে নারীদের যাতে কোনো ধরনের হয়রানির শিকার না হতে হয় সেই জন্য রমনা পার্ক ও হাতিরঝিল এলাকায় প্রথমবারের মতো দায়িত্ব পালন করবে র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত।
শুক্রবার রমনা বটমূলে পহেলা বৈশাখে নিরাপত্তা বিষয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান র্যাবের মহাপরিচালক (ডিজি) বেনজীর আহমেদ।
তিনি বলেন, আগামীকাল উৎসবমুখর ও শান্তিপূর্ণ পরিস্থিতি বজায় রাখার জন্য দেশব্যাপী নিরাপত্তা পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে র্যাব। উৎসবের প্রাণকেন্দ্র রমনা। তবে এর পাশাপাশি কয়েক বছর ধরে হাতিরঝিল, রবীন্দ্র সরোবর, উত্তরাসহ বিভিন্ন স্থানে অনুষ্ঠান হয়। বেশি জায়গায় অনুষ্ঠান হয়ে নিরাপত্তার চ্যালেঞ্জ বেড়ে গেলেও রমনায় জনসমাগমটা কম হয়। জনগণের উৎসব আনন্দমুখর করতে আমরা যেকোনো চ্যালেঞ্জ নিতে প্রস্তুত। রমনাসহ অন্যান্য জায়গায় সার্বিক নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিশ্চিত করবে র্যাব।
প্রতি বছর রমনায় র্যাবের কন্ট্রোলরুম স্থাপন করা হয়। তবে এবার হাতরঝিলে কট্রোলরুম থাকবে। প্রথমবারের মতো শিশু ও বৃদ্ধদের বিশ্রামের জন্য রমনা ও হাতিরঝিলে বৈশাখি লাউঞ্জ করা হচ্ছে। সিসিটিভি ক্যামেরার মাধ্যমে পুরো অনুষ্ঠানস্থল নজরদারিতে থাকবে।
রমনা পার্ক এলাকায় জেডস্কি দিয়ে পেট্রোল করা হবে। রমনা পার্ক ও মঙ্গল শোভাযাত্রা এলাকায় আকাশ থেকে হেলিকপ্টারসহ বিভিন্ন মাধ্যমে সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হবে। এ ছাড়া পেট্রোল টিমের পাশাপাশি থাকবে র্যাবের চেকপোস্ট।
র্যাব মহাপরিচালক আরও জানান, আশপাশের বস্তি ও আবাসিক হোটেলে অভিযান চালানো হচ্ছে, সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের পাওয়া গেলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। জঙ্গিগোষ্ঠীর উপর নজরদারি থাকছে। এ ছাড়া, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্ন মিডিয়ায় কে কী বলছে সে বিষয়ে নজরদারি করা হচ্ছে।
নিরাপত্তায় কোনো হুমকি নেই উল্লেখ করে র্যাব ডিজি বলেন, প্রেক্ষাপট বিবেচনা করে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। এখানে যারা আসবেন তারা যেন আস্থা অনুভব করতে পারেন। কারণ, আস্থা নিশ্চিত হলে উদযাপন পূর্ণতা পায়।
জেইউ/এনএফ/এমএস
