ডেঙ্গু থেকে রক্ষা পাননি ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহীও
ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে যোগ দেয়ার পর মো. মেসবাহুল ইসলামকে ডেঙ্গু জ্বরে ধরেছিল। কিন্তু সংবাদ মাধ্যমের ভয়ে তিনি এ তথ্য তখন প্রকাশ করেননি। ডিএসসিসির এই প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নিজের মুখেই এ কথা এখন জানালেন।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর বাড্ডায় একটি চাইনিজ রেস্টুরেন্টে নগর উন্নয়ন সাংবাদিক ফোরাম বাংলাদেশ আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা জানান। ফোরামটির প্রকাশনা ‘ঢাকাই’-এর দ্বিতীয় সংখ্যার মোড়ক উন্মোচন উপলক্ষে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যের মেসবাহুল ইসলাম বলেন, অন্য যে কোনো সিটির (শহর) থেকে ঢাকা ভালো সিটি। তবে ঢাকার অনেক সমস্যা রয়েছে। কিন্তু এসব সমস্যা একদিনে সমাধান করা সম্ভব না।
তিনি বলেন, ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করা অবস্থায় আমার ডেঙ্গু জ্বর হয়েছিল। আমি অ্যাপোলো হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছিলাম। কিন্তু সাংবাদিকদের ভয়ে সে কথা তখন প্রকাশ করিনি। আজ প্রকাশ করছি। আমার কাছের মানুষগুলো জেনেছিল। কিন্তু আমি তাদের প্রকাশ করতে দেইনি।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ডিএনসিসির প্যানেল মেয়র মো. ওসমান গণি। তিনি বলেন, পুরনো উদ্যোগ আর নতুন পরিকল্পনা নিয়ে একটি সুন্দর নগরী গড়তে কাজ করে যাচ্ছি। মেয়র আনিসুল হক একটি সুন্দর নগরী গড়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন। আমরা তার স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা রেখে তেজগাঁও -সাতরাস্তা ট্রাকস্ট্যান্ড সড়কের নাম ‘মেয়র আনিসুল হক সড়ক’ করার উদ্যোগ নিয়েছি। শিগগির এর নামফলক উন্মোচন করা হবে।
ওসমান গণি বলেন, জলাবদ্ধতা নিরসনের দায়িত্ব ঢাকা ওয়াসার। খাল, ড্রেন বারবার পরিষ্কার করার জন্য আমরা তাদের চিঠি দিলেও তারা সাড়া দেয়নি। এ কারণে মশার উপদ্রব বাড়ছে।
নগর উন্নয়ন সাংবাদিক ফোরাম বাংলাদেশের সভাপতি অমিতোষ পালের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক মতিন আব্দুল্লাহর সঞ্চলনায় অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসির প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম, প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনালের সাঈদ আনোয়ারুল ইসলাম, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. জাকির হাসান, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা কমডোর এম এ রাজ্জাক, ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ডা. জিন্নাত আলী, ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর জাকির হোসেন বাবুল, ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মফিজ আহমেদ, ২০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মোহাম্মদ নাসির প্রমুখ।
এমএএস/এএস/জেডএ/জেআইএম