বৈশাখ উদযাপন অনুষ্ঠানে ধূমপান করলেই ব্যবস্থা
বৈশাখ উদযাপন ঘিরে কোনো সুনির্দিষ্ট হুমকি নেই বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়া। তবে তিনি বলেছেন, পহেলা বৈশাখ উদযাপন অনুষ্ঠানে ধূমপান করলেই ব্যবস্থা নেবে মোবাইল কোর্ট। আমরা বৈশাখের অনুষ্ঠানগুলো ধূমপান ও ইভটিজিং মুক্ত ঘোষণা করেছি। যদি কেউ এরপরও এ ধরনের ঘটনা ঘটায় তবে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
তিনি আরও বলেন, ‘বৈশাখের অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে শাহবাগ, টিএসসি, রমনা, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, রবীন্দ্র সরোবর, হাতিরঝিলে ডগস্কোয়াড দিয়ে সুইপিং করা হবে। মঙ্গল শোভাযাত্রার নিরাপত্তায় মোতায়েন থাকবে সোয়াট।’
বৃহস্পতিবার দুপুরে ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন আছাদুজ্জামান মিয়া।
কমিশনার বলেন, প্রতিটি উন্মুক্ত স্থানের অনুষ্ঠানে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন ও কন্ট্রোল রুমে রিয়েল টাইম মনিটরিং করা হবে। জনগণ যাতে নেচে-গেয়ে, হেঁটে বৈশাখী অনুষ্ঠান উদযাপন করতে পারে সেজন্য বাংলামোটর, নীলক্ষেত, পলাশী, চানখারপুলসহ বেশ কয়েকটি সড়কে ব্যারিকেড দিয়ে যানবাহন প্রবেশ বন্ধ করা হবে।
রবীন্দ্র সরোবর, রমনা ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মতো যেসব অনুষ্ঠানস্থলে পানি রয়েছে সেসব স্থানে নৌ-পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল থাকবে।
বিশেষ স্থানগুলোতে ইভাকুয়েশন প্ল্যান তৈরি করা হয়েছে। যদি এসব স্থানে কোন ধরনের বিপদ হয় সেক্ষেত্রে আশপাশের এলাকার হাসপাতালগুলো প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
মঙ্গল শোভাযাত্রা যে রুট দিয়ে যাবে সেই রুটের প্রতিটি অলিগলিতে এবং বাড়ির ছাদে পুলিশ মোতায়েন করা হবে। পুলিশের সোয়াট বাহিনী মঙ্গল শোভাযাত্রার চারদিকে বেষ্টনী করবে। শোভাযাত্রায় মাঝপথ থেকে কেউ প্রবেশ করতে পারবে না। যারা বিভিন্ন মুখোশ ও ফেস্টুন বহন করবে তাদের নামের তালিকা চাওয়া হয়েছে। তারা ব্যতীত কেউ এসব বহন করতে পারবে না। পাশাপাশি মুখোশ বহনকারীরা মুখোশটি মুখের সামনে না রেখে অন্য দিকে রাখবে। মঙ্গল শোভাযাত্রায় কোন ধরনের বাণিজ্যিকীকরণ ব্যানার নিয়ে কাউকে প্রবেশ করতে দেয়া হবে না। উন্মুক্ত স্থানে বিকেল ৫টা পর্যন্ত অনুষ্ঠান করা যাবে (রবীন্দ্র সরোবরে ৭ টা)। এরপর সবাই ইনডোরে বৈশাখ উদযাপন করবেন।
১৪ তারিখ পবিত্র শবে মেরাজে মুসল্লিদের ইবাদতে কোনো ধরনের বিঘ্ন না ঘটানোরও অনুরোধ জানান তিনি।
এআর/জেইউ/এনএফ/আরআইপি