লেগো পুরস্কার পেলেন স্যার ফজলে হাসান আবেদ
প্রাক-শৈশব উন্নয়নে (আর্লি চাইল্ডহুড ডেভেলপমেন্ট) অসামান্য অবদান রাখায় ব্র্যাকের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারপারসন স্যার ফজলে হাসান আবেদ এ বছর লেগো পুরস্কার পেয়েছেন। মঙ্গলবার রাতে ডেনমার্কে পুরস্কার দেন লেগো ফাউন্ডেশন বোর্ডের ডেপুটি চেয়ারম্যান থমাস কির্ক ক্রিশ্চিয়ানসেন।
ডেনমার্কভিত্তিক কর্পোরেট প্রতিষ্ঠান লেগো ফাউন্ডেশন ১৯৮৫ সাল থেকে আর্লি চাইল্ডহুড ডেভেলপমেন্টে অবদানের জন্য বিভিন্ন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে এই পুরস্কার দিয়ে আসছে। পুরস্কার হিসেবে ১ লাখ মার্কিন ডলার দেয়া হয়েছে।
স্যার ফজলের প্রতিষ্ঠিত ব্র্যাক প্রথম থেকেই শিশু শিক্ষার ওপর গুরুত্ব দিয়ে আসছেন। সময়ের আবর্তে ব্র্যাকের এই উদ্যোগ অনানুষ্ঠানিক (নন ফর্মাল) প্রাথমিক শিক্ষা থেকে আনুষ্ঠানিক প্রাথমিক, মাধ্যমিক এবং তারও পরবর্তী ধাপে উন্নীত হয়েছে। পাশাপাশি বাংলাদেশ ছাড়াও এশিয়া ও আফ্রিকার ১০টি দেশে প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা এবং প্রাক-শৈশব উন্নয়নে কাজ করছে ব্র্যাক।
বর্তমানে বাংলাদেশ, তানজানিয়া ও উগান্ডায় ১৪শ’ এর বেশি প্রাক-শৈশব উন্নয়ন কেন্দ্র পরিচালনা করছে ব্র্যাক। এর মধ্যে প্রায় ১২শ’ কেন্দ্র বাংলাদেশে ‘খেলার জগৎ’ নামে পরিচালিত হচ্ছে। তিনটি দেশের এই কেন্দ্রগুলোতে ১ থেকে ৫ বছর বয়সী প্রায় ৪০ হাজার শিশু খেলাধুলার মাধ্যমে শিক্ষালাভ করছে।
স্যার ফজলে হাসান আবেদ বলেন, ‘এই মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কার পাওয়া অবশ্যই সম্মানের বিষয়। প্রতিটি শিশুরই বিকশিত হওয়ার অধিকার আছে। এই উদ্যোগটি বাংলাদেশের সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের সার্বিক উন্নয়নে বিশেষ অবদান রাখবে।’
এর আগের বছরে যারা লেগো পুরস্কার পেয়েছেন তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ফিনল্যান্ডের শিক্ষক পাসি সালবার্গ, যুক্তরাষ্ট্রের শিক্ষাবিদ অধ্যাপক কার্লা রিনালডি, রাইট টু প্লে ইন্টারন্যাশনালের প্রতিষ্ঠাতা জোহান কস প্রমুখ।
এফএইচএস/এমআরএম/এমএস