ফেসবুকে মৃত্যুর গুজব : ইমরানেরসহ ২০টি অ্যাকাউন্ট শনাক্ত
সরকারি চাকরিতে বিদ্যমান কোটা ব্যবস্থার সংস্কার দাবিতে গড়ে ওঠা আন্দোলনের প্রথম দিনে ‘পুলিশের গুলিতে আহত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষার্থী কিছুক্ষণ আগে মারা গেছেন’- এমন স্ট্যাটাস দিয়ে মৃত্যুর গুজব ছড়ানোর জন্য গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ইমরান এইচ সরকারের অ্যাকাউন্ট শনাক্ত করেছে পুলিশের সাইবার ক্রাইম টিম।
ইমরানের অ্যাকাউন্টের সঙ্গে আরো ২০-২৫টি অ্যাকাউন্ট ও পেজও শনাক্ত করা হয়েছে; যেগুলো থেকে ফেসবুকে মৃত্যুর গুজব ছড়ানো ও আন্দোলনে উসকানি দেয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ করা হচ্ছে।
আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সূত্রে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। সূত্রটি বলছে, ইমরানের অ্যাকাউন্ট থেকে একাধিক স্ট্যাটাস দেয়া হয়েছে। এক শিক্ষার্থীকে পুলিশ হত্যা করেছে বলেও ইমরানের অ্যাকাউন্ট থেকে দাবি করা হয়। পরে ওই শিক্ষার্থীই জানান, তিনি বেঁচে আছেন।
পুলিশ বলছে, আবু বক্কর সিদ্দিকি নামে আহত এক শিক্ষার্থীর অজ্ঞান অবস্থার ছবি তুলে তার মৃত্যু হয়েছে বলে গুজব ছড়ানো হয়।
সূত্র বলছে, মৃত্যুর গুজব সবচেয়ে বেশি ছড়ানো হয়েছে ইমরান এইচ সরকারের ভেরিফায়েড পেজ থেকে। পেজটিতে সাড়ে ১৪ লাখের বেশি লাইকার রয়েছেন।
ইমরান এইচের বিরুদ্ধে মামলা হলে তিনি গ্রেফতার হতে পারেন বলেও জানিয়েছে সূত্রটি।
এসব বিষয়ে জানতে পুলিশের সাইবার ক্রাইম বিভাগের অতিরিক্ত উপ কমিশনার (এডিসি) নাজমুল ইসলাম বলেন, ‘মৃত্যুর গুজব ও উসকানিমূলক পোস্ট দেয়া ২০-২৫টি অ্যাকাউন্ট সাসপেক্ট করা হয়েছে।’
কোটা সংস্কার আন্দোলনের প্রথম দিনেই পুলিশের গুলিতে একজনের মৃত্যুর কথা জানিয়ে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছিলেন ইমরান এইচ সরকার। ওই খবরটি সত্য ছিল না। পরে অবশ্য আরেকটি স্ট্যাটাসে তিনি লেখেন- ‘একটা ভালো খবর হলো, একজন মারা যাবার যে গুজবটা ছড়িয়ে পড়েছিল এখনো সেটার সত্যতা পাওয়া যায়নি। তবে অনেকের অবস্থা বেশ খারাপ। সবাই দোয়া করবেন আল্লাহ যেনো সবাইকে বাঁচিয়ে রাখেন।’
আগের পোস্টটি ডিলিট করা হয়েছে বলেও ওই স্ট্যাটাসের একটি কমেন্টে জানান ইমরান।
কোটাব্যবস্থা সংস্কারের দাবি আন্দোলনকে কেন্দ্র করে যারা ফেসবুকে মৃত্যুর গুজব ছড়িয়েছে তাদের বিরুদ্ধে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) আইনে মামলা হবে বলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। মঙ্গলবার সচিবালয়ে নিজ দফতরে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি।
এআর/এনএফ/আরআইপি