বর্ষার আশায় ডিএসসিসি
বহুতল ভবনে ঠাসা রাজধানী ঢাকা। এ মেগাসিটির জনসংখ্যা দুই কোটি ছুঁই ছুঁই। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এ শহরে জনসংখ্যা ও আকাশচুম্বী ভবন যেমন বাড়ছে তেমনি পাল্লা দিয়ে কমছে সবুজের সমারোহ। সবুজের সঙ্গে হারাচ্ছে রাজধানীবাসীর মনের প্রশান্তিও।
সবুজ ঢাকা গড়তে দুই সিটি কর্পোরেশন বিভিন্ন সময় নানা ধরনের কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করে। এর মধ্যে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন (ডিএসসিসি) ২০১৬ সালের জুনে সড়ক সবুজায়নের পাশাপাশি সৌন্দর্যমণ্ডিত করতে এক বছর মেয়াদি একটি প্রকল্প গ্রহণ করে।
এ প্রকল্পের উদ্দেশ ছিল, মেয়াদ শেষে সড়কে ফুলের সৌন্দর্য শোভা পাবে সেই সঙ্গে ছড়াবে সৌরভ। প্রায় ১২ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রকল্পটির কাজ শেষ হওয়ার কথা ২০১৭ সালের জুনে। কিন্তু নির্ধারিত সময় পার হলেও গাছগুলোতে ফুল আসেনি, কোথাও কোথাও গাছ মরে গেছে। মূলত রক্ষাণাবেক্ষণের অভাবে প্রকল্পটি কাজে আসেনি।
রাজধানীর মতিঝিল বলাকা চত্বর, মৎস্য ভবন থেকে শাহবাগ মোড়, গোলাপ শাহ মাজার থেকে কাকরাইল নাইটিঙ্গেল মোড়, বঙ্গবাজার থেকে শেরাটন হোটেল, রমনা থানার সামনে থেকে সবজি বাগান এলাকার মিডিয়ানে (সড়কের বিভাজন) এসব চারা লাগানো হয়েছিল।
নগরবাসীর অভিযোগ, সৌন্দর্যবর্ধন প্রকল্পে গাফিলতি থাকায় এ প্রকল্পের টাকা জলে গেছে। অন্যদিকে সিটি কর্পোরেশন বলছে, বিরূপ পরিবেশের কারণে গাছে ফুল ফোটেনি।
তবে প্রকল্প সূত্রে জানা গেছে, প্রকল্পটি শুরুর আগে বিশেষজ্ঞদের মাধ্যমে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে প্রায় আট কিলোমিটার সড়কের বিভাজন অংশ বেছে নেয়া হয়। এ প্রকল্পের নাম দেয়া হয় ‘বাগান বিলাস প্রকল্প’। এতদিন পরও গাছগুলোতে ফুল না আসায় প্রকল্পটি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
এ বিষয়ে ডিএসসিসি প্রধান নগর পরিকল্পনা কর্মকর্তা সিরাজুল ইসলাম বলেন, কয়েকটি সড়কের মিডিয়ানে ফুলের গাছ লাগানো হয় কিন্তু এখনও ফুল ফোটেনি। তবে এখানে আমাদের চেষ্টার কোনো ত্রুটি নেই। এসব গাছে ফুল আসতে বর্ষা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। আশা করি, বর্ষায় ফুল আসলেও আসতে পারে।
এএস/এএইচ/এমএআর/আরএস/পিআর