ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

সুন্দরবনের আশপাশের কারখানা মালিকদের পরিচয় প্রকাশের দাবি

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৩:১৮ পিএম, ০৭ এপ্রিল ২০১৮

বিশ্ব ঐতিহ্য সুন্দরবনের আশপাশে গড়ে ওঠা শিল্পকারখানা মালিকদের রাজনৈতিক পরিচয়সহ বিস্তারিত তথ্য প্রকাশের আহ্বান জানিয়েছেন লেখক-গবেষক সৈয়দ আবুল মকসুদ।

তার মতে, তাহলে বোঝা যাবে উদ্যোক্তারা কাদের লোক, তারা কি জনস্বার্থে এ কারখানা করছে, নাকি পরিবেশ ধ্বংস করার পায়তারা করছে।

শনিবার সকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে ‘দক্ষিণ-বাংলায় শিল্পায়ন : নাগরিক ভাবনা’ শীর্ষক এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি সরকারের প্রতি এ আহ্বান জানান।

বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) ও ওয়াটারকিপারস বাংলাদেশ যৌথভাবে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে।

অনুষ্ঠানে নির্ধারিত বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক বদরুল ইমাম।

এতে সভাপতিত্ব করেন সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ও বাপার সহ-সভাপতি রাশেদা কে চৌধুরী।

সৈয়দ আবুল মকসুদ বলেন, ‘সুন্দরবনের পাশে সরকার যেসব শিল্প কারখানা স্থাপনের অনুমোদন দিয়েছে সেগুলোর মালিক, তাদের রাজনৈতিক পরিচয়, কারখানার নাম, তাদের উৎপাদন পদ্ধতি ও পণ্যের নাম প্রকাশ করা হোক। তাহলে জানা যাবে এসব কারখানা জনস্বার্থে নাকি ব্যক্তি বা কোনো রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে স্থাপন করা হয়েছে’।

তিনি বলেন, ‘আমরা কৃষিকে ধ্বংস করে উন্নয়ন চাই না। যে উন্নয়ন কৃষি, পরিবেশ ও মানুষকে ক্ষতি করে তা কখনই টেকসই হয় না। জনগণ পরিবেশবান্ধন উন্নয়ন চায়। কিন্তু সরকার উন্নয়নের নামে বাড়াবাড়ি করছে। যারাই এদেশে উন্নয়ন করতে চায় তারা কখনই পরিবেশকে গুরুত্ব দেয় না’।

বিশিষ্ট এ নাগরিক জিডিপির অর্জনের সমালোচনা করে বলেন, ‘৬ দশমিক এত, ৭ দশমিক অত, এসব অংক বাংলাদেশের লোকজন জানে না। এ কথার মানে হচ্ছে, জনগণকে ভুলিয়ে রাখা। সরকার উন্নয়নের কথা বলে, এ উন্নয়ন ১০-১২ বছরের লক্ষ্যে হচ্ছে। এর কোনোটি পরিবেশ বান্ধব কিনা তা নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। উন্নয়ন হওয়া উচিৎ দীর্ঘ মেয়াদি’।

দেশে আন্তর্জাতিক মানের পরিবেশ আইন রয়েছে, কর্তৃপক্ষ এমন দাবি করলেও তারা নিজেরাই সেই আইন মানছে না বলে দাবি করেন এ লেখক।

সভাপতির বক্তব্যে রাশেদা কে চৌধুরী বলেন, ‘যারা পরিবেশ রক্ষায় কাজ করে এবং পরিবেশের ক্ষতি দেখলে প্রতিবাদ করে, তাদেরকে উন্নয়ন বিরোধী বলা হয়। আমরা স্পষ্ট বলছি, পরিবেশবাদীরা উন্নয়ন বিরোধী নয়। উন্নয়নের নামে পরিবেশের ক্ষতি হলে আমরা বলছি সেই উন্নয়ন চাই না। পরিবেশবাদীরা টাকা ও শক্তির কাছে হেরে যাচ্ছে’।

তিনি বলেন, ‘দেশের উন্নয়নের নামে এত আগ্রাসি ক্ষুধা, যা নদী খেয়ে ফেলছে, খাল খেয়ে ফেলছে। এখন সুন্দরবন খেয়ে ফেলার চিন্তা চলছে। এ থেকে আমাদের মুক্ত হতে হবে। তা না হলে নতুন প্রজন্মকে এক সময় বলতে হবে, বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলে একসময় একটা বন ছিল, তার নাম সুন্দরবন’।

পরিবেশ রক্ষায় সরকারকে সামাজিক সংগঠন ও মানবাধিকার কর্মীদের সঙ্গে আলোচনার আহ্বান জানান তিনি।

এইউএ/এমএমজেড/জেআইএম

আরও পড়ুন