এবারও জলাবদ্ধতার আশঙ্কা খোদ ওয়াসার
আগামী বর্ষা মৌসুমে রাজধানীতে জলাবদ্ধতা থাকতে পারে বলে আশঙ্কা করছে খোদ ঢাকা পানি সরবরাহ ও পয়ঃনিষ্কাশন কর্তৃপক্ষই (ওয়াসা)। সোমবার ঢাকা ওয়াসা ভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে আসন্ন শুষ্ক মৌসুমে পানি সরবরাহের প্রস্তুতি নিয়ে বলতে গিয়ে এমন আশঙ্কার কথা জানায় ঢাকা ওয়াসা।
সংবাদ সম্মেলনের শুরুতে পানি উৎপাদন ও সরবরাহে গৃহীত ব্যবস্থা, রমজান মাসে পানি সরবরাহের প্রস্তুতি, আসন্ন বর্ষা মৌসুমে রাজধানীর জলজট নিরসনে ঢাকা ওয়াসার গৃহীত পদক্ষেপ এবং ঘুরে দাঁড়াও ঢাকা ওয়াসার কর্মসূচির আওতায় সার্বিক পরিবর্তন সম্পর্কে জানান সংস্থার ব্যবস্থাপনা পরিচালক তাকসিম এ খান। জলাবদ্ধতা থাকার পেছনে একাধিক কারণ উল্লেখ করেছেন জলাবদ্ধতা নিরসনের দায়িত্বে থাকা ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী তাকসিম এ খান।
তিনি বলেন, ‘মূলত ১২ শতাংশ জলাভূমি থাকার স্থানে ২ শতাংশ জলাভূমি রয়েছে। শহরের অধিকাংশ মাটি কার্পেটিং করা হয়েছে এবং শহরের নিম্নাঞ্চল ভূমিদস্যুদের দখলে চলে গেছে। এসব কারণে ঢাকার জলাবদ্ধতা নিরসন করা কিছুটা অসম্ভব হয়ে উঠেছে। খাল কেন নেই, এর জবাব কে দিবে? ঢাকায় ৬৫টি খাল ছিল, চারটি নদী ছিল তার উত্তর কে দিবে? ২০০৫ সালে ২৬টি খালের পাড় বাঁধাই করার দায়িত্ব আমাদের দেয়া হয়। প্রথমে ৮টি, এরপর ৫টি মোট ১৩টি খালের পাড় বাঁধানো হয়। খালের পাড় বাঁধানোর কাজ শেষ না করলে উচ্ছেদ করে কোন লাভ হবে না। আর খাল দখল যারা করছেন তারা অনেক উপর মহলের লোক।’
তাকসিম বলেন, আগামী বর্ষা মৌসুমে মুষলধারে বৃষ্টি না হয়ে টিপটিপ বৃষ্টি টানা ১০ দিন ধরে পড়লেও জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হবে না। তবে কয়েক ঘণ্টা মুষলধারে বৃষ্টি হলে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হবে। তবে ৩ ঘণ্টার মধ্যে তা নিরসন করা সম্ভব হবে। নদী ও খালকে এখনো সবাই ডাস্টবিন ভাবছে বলেও জানান তিনি। এমন কি ড্রেনেজ ব্যবস্থা যেকোনো এক হাতে হওয়া উচিত বলেও মন্তব্য করেন ওয়াসার এই কর্মকর্তা। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ওয়াসার প্রধান প্রকৌশলী মো. কামরুল হাসান, ওয়াসার উপদেষ্টা এ কে এম সাহিদ উদ্দিন প্রমুখ।
এএস/ওআর/পিআর