সুস্থ হয়ে দেশের সেবায় কাজ করতে চান মেহেদী
‘দেশবাসীর দোয়ায় এত বড় বিপদ থেকে বেঁচে এসেছি। এখন পুরোপুরি সুস্থ হয়ে দেশের সেবায় কাজ করতে চাই।’ চিকিৎসা শেষে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল থেকে বাসায় ফেরার পথে একথাগুলো বলছিলেন নেপালের কাঠমান্ডুতে উড়োজাহাজ দুর্ঘটনায় অাহত মেহেদী হাসান।
এ সময় সঙ্গে ছিলেন তার স্ত্রী কামরুন্নাহার স্বর্ণা। তিনিও একই উড়োজাহাজ দুর্ঘটনায় অাহত হয়ে ঢামেকে চিকিৎসাধীন ছিলেন। আজ তারা দুজনসহ শেখ রুবাইত নামে আরেকজন ছাড়পত্র পান।
বেলা ১১টার দিকে একান্ত অালাপে মেহেদী হাসান জাগো নিউজকে বলেন, ‘মনে হয়নি বেঁচে যাবো। তবুও অাপনাদের দোয়ায় বেঁচে গেছি। সবার কাছে চিরঋণী হয়ে রইলাম। দোয়া করবেন যেন, খুব তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠতে পারি। সুস্থ হয়ে দেশের সেবায় কাজ করতে চাই। যে দেশবাসীর দোয়ায় বেঁচে গেছি, তাদের সেবায় নিজেকে অাত্মনিয়োগ করবো।’
এ সময় তার স্ত্রী কামরুন্নাহার স্বর্ণা জাগো নিউজকে বলেন, অামরা একই পরিবারের ৫ জন ছিলাম। কেউ বাঁচবো ভাবিনি। কিন্তু এ্যানি ভাবিসহ অামরা তিনজন সবার দোয়ায় বেঁচে গেলেও প্রিয়ক ভাই ও অাদরের একমাত্র পরী প্রিয়ংময়ী অামাদের ছেড়ে চলে গেছেন। অামাদের চেয়ে এ্যানি ভাবির মানসিক অবস্থা অারও খারাপ।
বিকেল সাড়ে ৪টায় মেহেদী ও স্বর্ণা ঢামেকের বার্ন ইউনিটের ৬ তলায় কেবিন ব্লক থেকে ছাড়পত্র নিয়ে গ্রামের বাড়ি গাজীপুরের মাওনার জৈনাবাজার এলাকায় চলে গেছেন। অার রুবাইতের গ্রামের বাড়ি গোপালগঞ্জ হলেও তিনি ধানমন্ডিতে চলে গেছেন।
বের হওয়ার সময় মেহেদী জানান, তাদের শারীরিক অবস্থা অাগামী ৬ সপ্তাহ পর চিকিৎসকদের জানানোর জন্য বলা হয়েছে। বুকে এখনও ব্যথা অাছে। এটা সারতে অারও সময় লাগবে। এ সময় তার স্ত্রী স্বর্ণা বলেন, অামার ফুসফুসে ধোঁয়া প্রবেশ করায় শ্বাসপ্রণালীতে সমস্যা হচ্ছে। এজন্য বাসায় চলে গেলেও চিকিৎসকদের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখতে বলেছেন।
তাদের ছাড়পত্রের ব্যাপারে বার্ন ইউনিটের প্রধান ও অাহতদের চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ডের সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেন জাগো নিউজকে বলেন, তাদের শারীরিক অবস্থা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখা হয়েছে। রিপোর্ট অনুযায়ী তারা এখন সুস্থ। তাই তাদের ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে। তবে তাদের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ থাকবে চিকিৎসকদের।
তিনি প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, তাদের সুস্থতায় অামিসহ সবাই খুশি। অাশা করছি, শেহরিন ও এ্যানিও দ্রুত সুস্থ হবেন।
এসএইচ/জেএইচ/আরআইপি