ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ৩টি ধারা নিয়ে কূটনীতিকদের উদ্বেগ
খসড়া ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ধারা নিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছেন কূটনীতিকরা। রোববার সচিবালয়ে আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের সঙ্গে সভায় ১১ দেশের দূতাবাসের রাষ্ট্রদূত ও তাদের প্রতিনিধিরা এ উদ্বেগ জানান।
সভা শেষে আইনমন্ত্রী বলেন, তারা ডিজটাল নিরাপত্তা আইনের ধারা ২১, ২৫, ২৮ নিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছেন। এ তিনটি ধারা নিয়ে আমরা আলোচনা করেছি।
তিনি বলেন, তাদের বক্তব্য শুনেছি এবং আমাদেরটা পেশ করেছি। এগুলো তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ে পৌঁছে দেয়া হবে। আলোচনা অত্যন্ত ফলপ্রসূ হয়েছে। এ আলোচনা চালিয়ে যেতে সম্মত হয়েছি। তাদের বক্তব্যগুলো দেখব, বিবেচনা করব এবং কিছুদিনের মধ্যে আবার বৈঠক করব।
‘আলোচনার পর যদি আইনের পরিবর্তন কিংবা কোনো বিষয় আরও পরিষ্কার করার প্রয়োজন হয় তা আমরা করব। তবে যুক্তিযুক্ত সময়ের মধ্যে আবারও আলোচনায় বসব’ বলেন আইনমন্ত্রী।
জার্মানির রাষ্ট্রদূত থমাস প্রিন্স সাংবাদিকদের বলেন, আমরা ১১টি দূতাবাস ও হাইকমিশনের কর্মকর্তারা খসড়া ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের বিষয়ে কথা বলতে এসেছিলাম। মত প্রকাশে স্বাধীনতায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করতে পারে খসড়া আইনের সেই বিষয়গুলো আমরা বলেছি।
উল্লেখ্য, গত ২৯ জানুয়ারি মন্ত্রিসভা বৈঠকে অনুমোদন পায় ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, ২০১৮’ এর খসড়া। আইনের ২১ ধারা অনুযায়ী, কোনো ব্যক্তি যদি ইলেকট্রনিক মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধ বা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বা জাতির পিতার বিরুদ্ধে যে কোনো প্রচার-প্রপাগান্ডা বা তাতে মদদ দিলে সর্বোচ্চ ১৪ বছরের কারাদণ্ড বা এক কোটি টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ড হতে পারে।
২৮ ধারায় বলা হয়েছে, যদি কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠী ইচ্ছাকৃতভাবে ওয়েবসাইট বা ইলেকট্রনিক মাধ্যমে এমন কিছু প্রকাশ বা প্রচার করেন যা ধর্মীয় মূল্যবাধে বা অনুভূতিকে আঘাত করে তাহলে শাস্তি ১০ বছরের জেল বা ২০ লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ড পেতে হবে।
সভায় ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত রেন্সজে টিরিংক ছাড়াও সুইডেন, যুক্তরাষ্ট্র, ডেনমার্ক, ফ্রান্স, কানাডা, যুক্তরাজ্য, স্পেন, নরওয়ে, ও সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূতের প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।
আরএমএম/এমএমজেড/পিআর