২০২৭ পর্যন্ত স্বল্পোন্নত দেশের সুযোগ-সুবিধা থাকবে
অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, ছয় বছর পর্যবেক্ষণের পর ২০২৪ সালে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে বাংলাদেশের উত্তরণ ঘটবে। তবে ২০২৭ সাল পর্যন্ত স্বল্পোন্নত দেশের সব সুযোগ-সুবিধা পাওয়া যাবে। ২০২৭ সালের পর স্বল্পোন্নত দেশের সুযোগ সুবিধা বন্ধ হলে নতুন নতুন সুবিধার জন্য আরও দরজা খোলা হবে।
বুধবার সকালে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ‘স্বল্পোন্নত দেশ হতে উত্তরণের অভিযাত্রায় এগিয়ে চলেছে বাংলাদেশ’শীর্ষক এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন অর্থ প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সচিব নজিবুর রহমান, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক সমন্বয়ক আবুল কালাম আজাদ, ইআরডি সচিব শফিকুল আজম।
অর্থমন্ত্রী বলেছেন, বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের মডেল। আগে বিশ্বের যেকোনো স্থানে গেলে শুধু বদনাম শুনতে হয়েছে যে বাংলাদেশ একটি গরীব দেশ। শুধু সাহায্য চায়। এখন আর বাংলাদেশ সে অবস্থানে নেই। বাংলাদেশ এখন পাতাল থেকে আসমানে উঠেছে। আগে নিচে ছিলাম, এখন ওপরে উঠেছি এবং আরও উঠব। বাংলাদেশের এই অর্জন ধুমধামের সঙ্গে সেলিব্রেট করব না কেন? তিনি বলেন, বাংলাদেশ এলডিসি (স্বল্পোন্নত) থেকে উন্নয়নশীল দেশ হওয়ায় ২০ তারিখ থেকে উৎসব শুরু হয়েছে। এই উৎসব চলবে ২৬ মার্চ পর্যন্ত। প্রধানমন্ত্রী এই অর্জনের রূপকার। আগামী ২২ মার্চ সকালে প্রধানমন্ত্রীকে সংবর্ধনা দেয়া হবে। ওইদিন দুপুরের পর থেকে রাজধানীর ৯টি অঞ্চল থেকে জনগণ র্যালি নিয়ে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে জমায়েত হবে বিকেল ৩টার মধ্যে। সেখানে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হবে। প্রধানমন্ত্রী উপস্থিত থাকবেন।
তিনি আরও বলেন, আগামী ২৬ তারিখ পর্যন্ত সরকারের সব দফতর থেকে জনগণকে যেকোনো একটি সেবা ফ্রি দেয়া হবে। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা মধ্য আয়ের দেশ হয়েছি- এই ঘোষণা পেয়েছি ১৭ তারিখে। এটি বাস্তবায়ন হবে ২০২৪ সালে। এই মধ্যবর্তী ছয় বছর জাতিসংঘের কাছে আমরা এলডিসি হিসেবেই থাকব। তবে বিশ্ব ব্যাংকের কাছে আমরা ইতোমধ্যেই উন্নয়নশীল দেশ হয়েছি।
এই যে এলডিসি থেকে বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশ হয়েছে এর মূল চ্যলেঞ্জ কি? এমন প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘এর মূল চ্যালেঞ্জ হলো আমাদের মানসিক পরিবর্তন। মানসিক পরিবর্তনের জন্যই আমাদের এই অর্জন। আমরা যে এলডিসি থেকে উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হয়েছি সেটা আমাদের মানসিকভাবে ধারণ করতে হবে।’
এমইউএইচ/ওআর/পিআর