চোখের জলে সহকর্মীদের বিদায়
এ যেন মন খারাপ আর কষ্টের রাজ্য। বুকে জমে থাকা চাপাকষ্ট থেকে পরিত্রাণ পেতে কেউ কেউ কাঁদছেন। কেউবা বুকে পাথর বেঁধেছেন। একসঙ্গে তিনজন সহকর্মী ছেড়ে চলে যাচ্ছেন না ফেরার দেশে। শেষবারের মতো এসেছেন কর্মস্থলে। এটা কেউ কি মেনে নিতে পারে।
নেপালের কাঠমান্ডুতে বিমান দুর্ঘটনায় রানার অটোমোবাইলসের তিন সহকর্মী এস এম মাহমুদুর রহমান, মো. মতিউর রহমান ও নূরুজ্জামান বাবু নিহত হন। সোমবার তাদের মরদেহ ঢাকায় আসে। এরপর শেষবারের মতো তাদের মরদেহ রানার হেড অফিসে নেয়া হয়।
এরপর সোমবার সন্ধ্যায় তেজগাঁওস্থ রানার গ্রুপের প্রধান কার্যালয়ে রানার পরিবারের পক্ষে নিহতদের জানাজা সম্পন্ন হয়। রানারের সব সহকর্মী জানাজায় অংশ নেন।
এর আগে গ্রুপের চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান খান, ভাইস চেয়ারম্যন মোজাম্মেল হোসেন, রানার অটোমোবাইলসের এমডি এবং সিইও মুকেশ শর্মা এবং ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর আনোয়ারুল আজিম, রানার ব্রিকসসহ রানার গ্রুপের সকল কর্মকর্তা উপস্থিত থেকে শ্রদ্ধা জানান।
গত ১২ মার্চ কাঠমান্ডুতে এই তিন সহকর্মী রমন মোটরসের (নেপালে রানার মোটরসাইকেলের আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান) কর্মীদের উন্নত প্রশিক্ষণ প্রদানের জন্য ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সযোগে নেপালে যাচ্ছিলেন।
এমএ/বিএ